'দুর্ঘটনা'য় গুরুতর আহত, বাঘরোল শাবককে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে গেলেন যুবক

  • সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে ভিন্ন ছবি
  • বাঘরোল শাবক এবার আশ্রয় পেল গৃহস্থের বাড়িতে
  • সচেতনতার নজির স্থানীয় যুবকদের
  • হাওড়ার বাগনানের ঘটনা
     

Asianet News Bangla | Published : Jun 21, 2020 8:01 PM IST / Updated: Jun 22 2020, 11:20 AM IST

সন্দীপ মজুমদার, হাওড়া: সপ্তাহ খানেকের ব্য়বধানে ছবিটা বদলে গেল! গুরুতর জখম এক বাঘরোল শাবক এবার আশ্রয় পেল গৃহস্থের বাড়িতে। প্রাণীটিকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচালেন কয়েকজন যুবক। ঘটনাস্থল সেই হাওড়া।

আরও পড়ুন:মৃতদেহ নিয়ে মিছিল কেন, দিলীপ ঘোষদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা পুলিশের

তখন সন্ধে হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার বাগনানের খাদিনান লালগড় এলাকার রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছিল একটি বাঘরোল শাবক। ঘটনাটি নজরে পড়ে আশিষ দাস ও সাগর দাস নামে স্থানীয় দুই যুবকের। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান, গাড়ির ধাক্কায় সম্ভবত আহত হয়েছিল প্রাণীটি। কুকুরের দল যখন বাঘরোলটিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তখন প্রাণীটিকে উদ্ধার করেন আশিষ ও সাগর। এরপর ফোনে খবর দেন চিত্রক প্রামাণিক নামে এক যুবককে। তিনি এলাকায় পশুপ্রেমী হিসেবে পরিচিত। বাঘরোলটিকে খাঁচায় ভরে বাড়িতে নিয়ে যান ওই যুবক। রাতভর চলে সেবা-যত্ন। শনিবার সকাল খবর দেওয়া হয় উলুবেড়িয়া বনদপ্তরে। বাঘরোলটিকে বনকর্মীরা নিয়ে চলে যান হাওড়া শ্যামপুরে, ৫৮ গেট রেসকিউ সেন্টারে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই  রীতিমতো সাড়া পড়ে যায় এলাকায়। উদ্ধারকারী যুবকদের সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার হাওড়ার আমতার উদং গ্রাম থেকে একটি পূর্ণবয়ষ্ক ও গর্ভবতী বাঘরোলের দেহ উদ্ধার করেন বনদপ্তরের কর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক খাবারে সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যা করা হয়েছে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটিকে। শুধু তাই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। দেহটি উদ্ধার করে কলকাতার বেলগাছিয়া পশু হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে। এবার কিন্তু উল্টো ঘটনা ঘটল জেলার অন্য প্রান্তে।

আরও পড়ুন: ৮৮ দিন পর চালু দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শুরু সীমান্ত বাণিজ্য

উল্লেখ্য, এ রাজ্যে বাঘরোলকে জাতীয় পশুর স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। বন্যপ্রাণী সংরক্ষ আইনে বাঘরোল সিডিউল 'এ'-র অন্তর্ভুক্ত।  ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারের রেড তালিকায়ও স্থান পেয়েছে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটি। গ্রামীণ হাওড়ায় বিভিন্ন অঞ্চলের ঝোপ-ঝাড় ও জলাভূমিতে বাঘরোলের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। প্রাণীটিকে সংরক্ষণের জন্য প্রচার চালায় বনদপ্তর। মানুষ কি সচেতন হচ্ছেন? বাগনানের ঘটনায় আশার আলো দেখছেন পশুপ্রেমীরা।

Share this article
click me!