স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্রাস কালাপানির সেলুলার জেল, বন্দিদের দেহ সমুদ্রের জলে ছুঁড়ে দেওয়া হত

সেলুলার জেল ব্রিটিশ শাসনের অত্যাচারের প্রতীক। সিপাহী বিদ্রোহ থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য এই জেল ব্যবহার করা হত। অনেক সংগ্রামীকে দ্বীপান্তরিত করা হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে খুব কম লোকই স্বাধীনতার পরে ফিরে আসতে পেরেছিলেন।

Saborni Mitra | Published : Aug 8, 2024 2:35 PM IST

111
কালাপানি

ব্রিটিশ শাসনের অত্যাচারের চরম সাক্ষী নিয়ে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে সেলুলার জেল। কিন্তু কেন এই নাম। সিপাহী বিদ্রোহ থেকে শুরু করে ১৯৪৭- স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চরম সাজা দিতে পাঠান হল সেলুলার জেলে।

211
কালাপানিতে দ্বীপান্তর

স্বাধীনতা সংগ্রামী- যাদের লাগাম পরাতে পারত না ব্রিটিশ সরকার তাদেরই পাঠান হত কালাপানিতে। সেখানেই চরম অত্যাচারে মৃত্যু হল বা মেরে ফেলা হত। স্বীনতার পরে নামমাত্র বন্দি দেশে ফিরতে পেরেছিলেন।

311
সিপাহী বিদ্রোহ থেকে কালাপানি

সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে আন্দামানে পাঠান হয়েছিল প্রায় ২০০ জন বিদ্রোহীকে। যার মধ্যে ছিল মুঘর রাজবাংসের সদস্য, বাহাদুর শাহ জাফরের ঘনিষ্টরা।

411
স্বাধীনতার সময়

১৯ শতকে স্বাধীনতা সংগ্রাম যখন তুঙ্গে ছিল তখন, বিপ্লবীদের শাস্তি দেওয়ার জন্যই আন্দামানকেই বেছে নিয়েছিল ব্রিটিশরা। সেই সময়ই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঘেরা একটি কারাগারের প্রয়োজন হয়েছিল।

511
কারাগার তৈরি

মূলত ব্রিটিশ রাজকর্মচারী চার্লস জেমস ল্যাল এবং চিকিৎসক এ এস লেথব্রিজের মস্তিষ্কপ্রসূত ছিল সেলুলার জেল। ১৮৯৬ সালে শুরু কারাগার নির্মাণের কাজ। শেষ হয় ১৯০৬ সালে। তৎকালীন বর্মা থেকে ঘন লাল রঙের ইট এনে প্রথমে তৈরি হয়েছিল কারাগার।

611
কারাগারের গঠন

কারাগার ভবনের সাতটি শাখা ছিল। কেন্দ্রে ছিল টাওয়ার। যেখান থেকে রক্ষীরা নজরদারি চালাতেন। বাইসাইকেলের চাকায় যেমন স্পোক থাকে, সে ভাবে কেন্দ্র থেকে বিস্তৃত ছিল শাখাগুলো।

711
কেন সেলুলার জেল

সেলুলার জেল নামকরণ হওয়ার কারণ- এর প্রকোষ্ঠ। কারাগারে মোট ৬৯৬টি সেল ছিল। ছোট ছোট প্রকোষ্ঠে একটি করে ঘুলঘুলি ছিল। যা দিয়ে সামান্যই আলো ঢুকত সেলের অন্দরে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হত বন্দিদের।

811
অত্যাচার

কঠোর অত্যাচার করা হত। যার কথা বন্দিদের লেখা থেকে জানান যায়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হত বন্দিদের।

911
নৃশংস অত্যাচার

বন্দিদের কেউ মারা গেল সৎকার পর্যন্ত করা হত না। ভাসিয়ে দেওয়া হত সমুদ্রের জলে। অনেক সময় ফাঁসির সাজা দেওয়া বন্দিদেরও সমুদ্রের জলে ভাসিয়ে দেওয়া হত।

1011
কালাপানিতে দ্বীপান্তর

শোনাযায় স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় প্রায় ৮০ হাজার সংগ্রামীকে দ্বীপান্তরে পাঠিয়েছিল ব্রিটিশরা। যারমধ্যে সামান্য সংখ্যকই স্বাধীনতার পরে ভারতে ফিরতে পেরেছিলেন।

1111
নেতাজির দখলে আন্দামান

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ১৯৪১ সালে ব্রিটিশদের হাত থেকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অধিকার করে জাপানি শক্তি। পোর্ট ব্লেয়ারে পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপের নতুন নামকরণ করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ‘শহিদ’ ও ‘স্বরাজ’ দ্বীপ। তবে অবস্থা পরিবর্তিত হয়ে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযু্দ্ধে জাপানের পতনের সঙ্গে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপের কর্তৃত্ব আবার চলে যায় ব্রিটিশদের হাতে।

Read more Photos on
Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos

Recommended Photos