Netaji: 'কোনও সরকারের সমপ্তি ঘোষণা...', সিভিল সার্ভিসে যোগ না দিয়ে বলেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু

সুভাষচন্দ্র বসু অত্যান্ত মনোযোগী আর প্রতিভাশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ওড়িশার কটকে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই তাঁর পড়াশুনা শুরু হয়।

 

Saborni Mitra | Published : Jan 18, 2024 9:59 AM IST

পড়াশুনায় তুখড় ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র। সিভিল সার্ভিসে দুর্দান্ত ফল করেও নিয়োগপত্র গ্রহণ করেননি। পাশ্চাত্য শিক্ষা শিক্ষিত ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। তবে বেদ ও উপনিষদে তাঁর ছিল অগাধ জ্ঞান। ছোট থেকেই তিনি দেশভক্ত ছিলেন। কারণ দেশীয় পোশাককে অত্যান্ত গুরুত্ব দিতেন।

সুভাষচন্দ্র বসু অত্যান্ত মনোযোগী আর প্রতিভাশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ওড়িশার কটকে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই তাঁর পড়াশুনা শুরু হয়। কটকের প্রোটেস্ট্যান্ট ইউরোপীয় স্কুলে পড়াশুনার প্রথম ধাপ ছিল তাঁর ছিল। সুভাষচন্দ্র বসু ইংরেজে, লাতিন, বাংলা সমানতালে বলতে ও লিখতে পারতেন। তিনি ছোটবেলাতেই বাইবেল পড়ে শেষ করেন। পাশাপাশি রামায়ণ ও মহাভারতে তাঁর পান্ডিত্য ছিলে দেখার মত। তবে তাঁর পড়াশুনার দ্বিতীয় ধাপ কলকাতায়।

পাঁচ ভাইবোনের মত সুভাষচন্দ্র বসুও ১৯০৯ সালে ১২ বছর বয়সে কটকের রাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন। সেখানেই বাংলা ও সংস্কৃত শেখেন। ১৯০২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত ম্যাট্রিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। পরের বছরই তিনি চলে আসেন কলকাতায়। ১০১৩ সালে ভর্তি হন প্রেসিডেন্ট কলেজে। তাঁর প্রধান বিষয় ছিল দর্শন। ক্যান্ট, হেগেল , বের্গসনে লেখা পড়েই তিনি জাতীয়তাবাদী ভাবধারায় দীক্ষিত হন। স্বাধীনতা বোধ তৈরি হয়। দেশের স্বাধীনতার জন্যই নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। আর সেই কারণেই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় দুর্দান্ত ফল করেন। নিয়োগপত্রও পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই চাকরি তিনি নেননি। শোনাযায় বিপ্লব সচেতন দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই নিয়োগপত্র প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি চাকরি ফিরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, 'কোনও সরকারের সমাপ্তি ঘোষণা করার সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা হল তার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া।'

সিভিল সার্ভিসে যোগ না দেওয়ার পরই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের সঙ্গে। তারপরই কংগ্রেসে যোগ দান করেন। জালিওয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড ও রওলাট আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হন।

 

Read more Articles on
Share this article
click me!