ক্ষুদিরাম বসু ছিলেন বর্তমান পূর্ব মেদিনীপুরের কেশপুরের বিল্পবী। ১৮৮৯ এর ৩ ডিসেম্বর জন্ম হয়েছিল। বা ত্রৈলোক্যনাথ বসু ছিলেন নাড়াজোলের তহসিলদার।
সালটা ১৯০৮। এপ্রিল মাস। প্রখর গরম। সেই সময় ব্রিটিস বিচারক কিংসফোর্ড মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিলেন ক্ষুদিরাম বোসকে। সেই ভয়ঙ্কর দিন। ১১৭ বছরের সেই দিনটি এখনও স্মরণ করে বাঙালি। গর্বিত হয়। কারণ মাত্র ১৮ বছর বয়সেই ব্রিটিস শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে শহিদ হয়েছিলেন ক্ষুদিরাম বোস। কিন্তু তিনি এখনও অমর। ১১ অগস্ট শহিদ ক্ষুদিরাম বোসকে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়েছিল ব্রিটিস শাসক।
৩০ এপ্রিল কিংসফোর্ডের গাড়িতে বোমা মেরেছিলেন ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী। দুটি বোমা ছুঁড়েছিলেন। কিন্তু ব্রিটিস শাসককে খুন করতে ব্যর্থ হন। তবে গাড়িতে থাকা মিসেস কেনেডি ও তার কন্যার মৃত্যু হয়েছিল। ধরা পড়ে যান ক্ষুদিরাম। তাতেই ফাঁসির সাজা হয় ক্ষুদিরামের।
ক্ষুদিরাম বসু ছিলেন বর্তমান পূর্ব মেদিনীপুরের কেশপুরের বিল্পবী। ১৮৮৯ এর ৩ ডিসেম্বর জন্ম হয়েছিল। বা ত্রৈলোক্যনাথ বসু ছিলেন নাড়াজোলের তহসিলদার। মায়ের নাম ছিল লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবী। ক্ষুদিরাম ছিলেন সবার ছোট। তাঁর তিন দিদি ছিল। লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবীর দুই ছেলে অকালে মারা গিয়েছিলেন। ক্ষুদিরামের মৃত্যুর আশঙ্কায় তিনি কুসংস্কার থেকে তাঁর ছেলেকে নিজের বড় মেয়ের কাছে তিন মুঠো খুদের বিনিময়ে বিক্রি করেছিলেন। খুদের বিনিময়ে বিক্রি করেছিলেন বলেই শিশুটির নাম রাখা হয়েছিল ক্ষুদিরাম। তাঁর যখন পাঁচ বছর বয়স সেই সময় তাঁর মা মারা যান। এর একবছর পর তাঁর বাবাও মারা যান।
ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি হয়েছিল ১৯০৮ সালের ১১ অগস্ট। ভোর ৪টের সময়ে ফাঁসি হয়েছিল। ক্ষুদিরামের উকিল ছিলেন উপেন্দ্রনাথ সেন। তিনি পরে জানিয়েছিলেন ক্ষুদিরাম ছিলেন নির্ভিক। তিনি ভয়হীনভাবেই ফাঁসিকাঠে উঠেছিলেন। তাঁর মধ্যে কোনও অনুশোচনা ছিল না। সেই সব শুনেই বাঁকুড়ার লোককবি পীতাম্বর দাস লিখেছিলেন, 'একবার বিদায় দে - মা ঘুরে আসি।'যা এখনও মানুষের মুখে মুখে ঘোরে।
