ভগৎ সিংয়ের জন্মবার্ষিকীতে রইল তাঁর সেরা দশ উক্তি

Published : Sep 28, 2019, 10:24 AM ISTUpdated : Sep 28, 2019, 10:32 AM IST
ভগৎ সিংয়ের জন্মবার্ষিকীতে রইল তাঁর সেরা দশ উক্তি

সংক্ষিপ্ত

ওরা আমাকে মেরে ফেলতে পারবে কিন্তু আমার ভাবনা কে মারতে পারেব না।   ওরা আমার শরীরকে দুমড়ে মুচড়ে দিতে পারবে কিন্তু আমার আত্মাকে শেষ করতে পারবে না।

মাত্র ২৩ বছর বয়সে দেশের জন্য ফাঁসির দড়ি গলায় তুলে নেন এই সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী। অল্প সময়েই দেশবাসীর কাছে এক আদর্শময় ব্য়ক্তিত্বের ছাপ ছেড়ে যান তিনি। ১৯০৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর আজকের দিনই জন্ম নেন ভারতমাতার অমর সন্তান ভগৎ সিং। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অমর কীর্তির জন্য সবাই তাঁকে শহিদ ভগৎ সিং বলেই চেনে। দেশ ব্রিটিশদের অধীনে থাকাকালীন পাঞ্জাব জন্ম নিয়েছিলেন এই বিপ্লবী। দেশ ভাগের পর বর্তমানে ভগৎ সিংয়ের জন্মভিটে পাকিস্তানে চলে গিয়েছে।
 
ব্রিটিশদের দেশ থেকে হটাতে বিপ্লবের পথে হেঁটেছিলেন লালা লাজপত রাই। তাঁকে দমন করতে আক্রমণের পথে হাঁটে ব্রিটিশ সরকার। সেই সময় লাজপত রায়ের আন্দোলনকে গুড়িয়ে দিতে নৃশংস হামলা চালানোর নির্দেশ দেয় ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জন পি সনডারস। যার পাল্টা প্রতিশোধের পথে হাঁটেন ভগৎ সিংয়ের মতো বিপ্লবীরা। পরে সনডারকে মারার ষড়য্ন্ত্রী হিসাবে ভগৎ সিং, শিবরাম রাজগুরু ও সুখদেবকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়।  আজ ১১২ তম জন্মবার্ষিকী এই বিপ্লবীর। 


      ভগৎ সিংয়ের ১০ সেরা উক্তি

১। ওরা আমাকে মেরে ফেলতে পারবে কিন্তু আমার ভাবনাকে মারতে পারেব না।  ওরা আমার শরীরকে দুমড়ে মুচড়ে দিতে পারবে, কিন্তু আমার আত্মাকে শেষ করতে পারেব না।

২। ছাইয়ের প্রতিটি ক্ষুদ্র অণু আমার উত্তাপের সঙ্গে চলমান। আমার এমনই উন্মাদনা যে কারাগারে বসেও আমি স্বাধীন।

৩। নিজের জীবন নিজের মেজাজে বাঁচো, একমাত্র মরার পরই অন্যদের সাহায্য় নিও।

৪। যারা কানে শুনতে পায় না তাঁদের শোনাতে বিকট আওয়াজের প্রয়োজন।

৫। জীবনের লক্ষ্য মনকে নিয়ন্ত্রণ করার থেকে এর যথাযথ বিকাশ করাই হওয়া উচিত। মন নিয়ন্ত্রণ করে জীবিত অবস্থায় বা জীবনের পরে পরিত্রাণ লাভ এর লক্ষ্য নয়। জীবনী শক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারই এর লক্ষ্য হওয়া উচিত।

৬। নির্দয়ী সমালোচনা এবং স্বতন্ত্র চিন্তাভাবনা বিপ্লবী চিন্তার দুটি বৈশিষ্ট্য। প্রেমিক, পাগল এবং কবিরা এই একই বৈশিষ্ট্য দিয়ে গড়া। 

৭। বিপ্লব শব্দটিকে এর আক্ষরিক অর্থে ব্যাখ্যা করা উচিত নয়। এই শব্দটির সাথে বিভিন্ন অর্থ এবং তাৎপর্য জড়িত। অনেকে ইচ্ছা অনুসারে এই শব্দের ব্যবহার বা অপব্যবহার করে। শোষণের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য এটি রক্তাক্ত দুর্যোগের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। বিপ্লবীদের কাছে এটি একটি পবিত্র বাক্য।

৮। বোমা বা পিস্তল কোনও বিপ্লবের জন্ম দেয় না।  বিপ্লবের তরোয়াল ক্ষুরধার হয় নিকষ পাথরে ভাবনার ঘাত প্রতিঘাত দিয়ে।

৯। শ্রমই হল সমাজের প্রকৃত রক্ষাকারী। 

১০। মানুষ তাঁর নিত্যদিনের কার্যক্রমে অভ্যস্ত হয়ে পরিবর্তনের ঝুঁকি নিতে ভয় পায়। এই ক্লান্তিকর চিন্তাধারা থেকে বেরোতেই বিপ্লবী উদ্দীপনার প্রয়োজন।

PREV
click me!

Recommended Stories

News Round Up: কলকাতায় পা রাখছেন মেসি থেকে শুরু করে শুভেন্দুর নিশানায় মমতা, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে
জনগণনা ২০২৭: ৩০ লক্ষ কর্মী, ১১,৭১৮ কোটি টাকা বাজেট, বিশ্বের বৃহত্তম সমীক্ষা