
নির্মম ঘটনা মহারাষ্ট্রে। মাত্র ১০ মিনিট দেরিতে স্কুলে আসায় ১৩ বছরের এক ছাত্রীকে ক্লাস টিচার ১০০বার কানধরে উঠবোস করার নির্দেশ দিয়েছিল। ৮ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের ভাসাই-এর শ্রী হনুমন্ত বিদ্যা মন্দিরে এই ঘটনা ঘটে। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রীটি। তাতে দ্রুত জেজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচান যায়নি।
একজন ছাত্রী নয়। আরও বেশ কয়েকজন ছাত্রীও সেইদিন দেরীতে স্কুলে এসেছিল। সেই ছাত্রীদেরও ১০০ বার উঠবোস করতে বলা হয়েছিল। নিহত ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে এই শান্তিতে রীতিমত অসুস্থ হয়ে পড়ে। পিঠে অসম্ভব ব্যাথা হয়। বাকিরাও অসুস্থ হয়ে পড়ে। নিহতের মা জানিয়েছে তাঁদের মেয়ে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু মেয়েকে বাঁচান যায়নি। তাঁরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
নিহতের মা আরও বলেছেন, ১০০বার সিটআপ করায় তাঁর মেয়ে স্কুলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাড়িতে যাওয়ার পর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে ছাত্রীকে নিয়ে জেজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার রাত ১১টায় ছাত্রীর মৃত্যু হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, শাস্তি পালনের সময় ছাত্রীটির শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। হাঁপাচ্ছিল। দুইএকবার পড়েও গিয়েছিল। ছাত্রীর মৃত্যুর পরই স্থানীয়রা স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। স্থানীয়দের অভিযোগ স্কুলটিতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পঠপাঠনের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু স্কুলটিতে নবম ও দশম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস হয়। ছাত্রীদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশি রাখা হয়। স্কুলটি নিয়ে স্থানীয়রা এর আগেও অভিযোহ জানিয়েছে বলেও জানা গেছে।