বিবাহের মতো সুন্দর ও পবিত্র সম্পর্ককে ভাষায় ব্যাখ্যা করা সত্যিই খুবই কঠিন। আর সেই সম্পর্কে যদি বাঁধা পড়েন বিশেষভাবে সক্ষম যুগল তাহলে সেই সম্পর্ক যেন আলাদাই মাত্রায় পৌঁছে যায়। কিন্তু একথা ,বলাই বাহুল্য যে বরাবরই সমাজে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের। আর এবার সেই বিশেষভাবে সক্ষম ১৮জন যুবক ও যুবতীর গণবিবাহের আয়োজন করলেন ভাদোদরার মানুষরা।
আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই সমস্ত রীতি-নীতিকে মেনেই সম্পন্ন করা হয় এই বিশেষভাবে সক্ষম যুগলদের। বিয়ের জন্য তাঁরা সামিল হয়েছিলেন বিশাল এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায়। সেইসঙ্গে আয়োজন করা হয়েছিল একটি গ্র্যান্ড রিসেপশন-এর। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের সংখ্যাটিও কিন্তু নেহাত কম ছিল। ওইসব যুগলদের পরিবারের লোকজন ছাড়াও, সেইসব মানুষদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল যঁারা তাঁদের বিয়ের সপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা রাজেশ আইয়ারের কথায়, ঈশ্বর সকলের জন্যই তাঁর বরাদ্দটুকু রেখে দিয়েছেন, কিন্তু মানুষেরও উচিৎ সেই কাজে খানিকটা এগিয়ে আসা।
কোনও কাজে যদি সব মানুষই এগিয়ে আসেন সেক্ষেত্রে যে কতখানি সুষ্ঠুভাবে কাজটি সম্পন্ন হয়, তার উদাহরণ হল এই গণবিবাহ। ভাদোদরার মানুষদের সহযোগীতা ছাড়া যে এি কাজ কখনওই সম্ভব হত না সেকথা বারবারই স্বীকার করে নিয়েছেন উদ্যোক্তা রাজেশবাবু। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এমন সহযোগীতা পেয়ে স্বভাবতই খুশি বিশেষভাবে সক্ষম নববিবাহিত দম্পতি। তাঁদের অনেকের কাছেই এই দিনটি ছিল স্বপ্নের মতো। কারণ তাঁরা কেউ ভাবেননি যে তাঁদের জন্যও এমন কিছু অপেক্ষা করছে।