যোগী রাজ্যে হাত বাঁধা অবস্থায় মিলল দলিত কিশোরীর দেহ, ময়না তদন্তে নিশ্চিত আরও একটি ধর্ষণ-হত্যা

কড়া শাস্তি দেবেন বলে ধমকেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ

কিন্তু তাঁর ধমকে কাজ হল কই

ফের এক ১৮ বছরের দলিত কিশোরীর দেহ মিলল

ময়না তদন্তে নিশ্চিত হল ধর্ষণ খুনের অভিযোগ

 

amartya lahiri | Published : Oct 16, 2020 5:37 AM IST

অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড গড়েছেন। সম্প্রতি হাথরসের ঘটনার পর কড়া বার্তা দিয়েছেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু, যোগী আদিত্যনাথের এইসব পদক্ষেপের পরও উত্তরপ্রদেশে নারি নির্যাতন বিশেষ করে দলিত সম্রদায়ের নারিদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় কোনও লাগাম লগানো যাচ্ছে না। হাথরসের গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর কয়েক সপ্তাহ যেতে না যেতেই আরও এক ১৮ বছরের দলিত কিশোরীর প্রায় একইরকম পরিণতি হল।

এবার ঘটনা বড়াবাঁকি জেলার সাতরিখ এলাকায়। বুধবার সন্ধ্যায় ওই দলিত কিশোরীকে বাড়ির পাশের মাঠে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তার দুই হাত ছিল পিছমোড়া করে বাঁধা। তখনই ধর্ষণ ও হত্যার সন্দেহ করা হয়েছিল। এদিন ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সেই সন্দেহই নিশ্চিত হয়েছে।

পুলিশ-কে তাঁর বয়ানে মৃতা দলিত কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, বুধবার বিকাল ৪ টে নাগাদ বাড়ির পাশের এক মাঠে গিয়েছিল তাঁর মেয়ে। অন্ধকার হয়ে গেলেও সে বাড়ি ফেরেনি। একটু রাত হওয়ার পর তিনি তাঁর মেয়ের খোঁজ করা শুরু করেন। ওই মাঠেই সংজ্ঞাহীন ও হাত বাঁধা অবস্থায় পড়ে ছিল সে। মেয়েটির বাবা ও স্থানীয় কয়েকজন মিলে তাকে পাশের এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানকার ডাক্তাররা জানান, আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই ১৮ বছরের মেয়েটির।
পরে পুলিশ এসে তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছিল।

শুক্রবার তার রিপোর্টে  নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে, মেয়েটিকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়েছিল। তারপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। প্রথমে এই বিষয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হলেও এখন এফআইআর-এ ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন, এসপি অরবিন্দ চতুর্বেদী। এই মামলা তদন্তের পুলিশের বেশ কয়েকটি দল গঠন করা হয়েছে। প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে ডগ স্কোয়াড নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকবার পরিদর্শন করেছেন ফরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তারা।

নিহত মেয়েটির বাবা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, অর্থ বা কোনও ক্ষতিপূরণ তাঁর চাই না। কারণ তাতে তাঁর মেয়ে ফিরে আসবে না। তিনি চান শুধু ন্যায়বিচার। কে তাঁর এত বড় সর্বনাশ করল তা ভেবেই পাচ্ছেন না হতভাগ্য বাবা। বারবার বলছেন 'গ্রামের কারোর সঙ্গে আমার শত্রুতা বা সম্পত্তি নিয়ে কোনও বিরোধ নেই'।

 

Share this article
click me!