বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে কোয়ারেন্টাই থেকে চম্পট
ফিরল মদ গাঁজা আর সিগাটের সঙ্গে নিয়ে
সেগুলি বিক্রি বাকিদের কাছে হতাশ স্থানীয় প্রশাসন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করা হয়েছে। যেখানে মূলত থাকবেন প্রবাসী শ্রমিক বা অন্যত্র থেকে ফেরা ব্যক্তিরা। সরফকারী ব্যক্তির মাধ্যমে যাতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজর দিতেই চালু করা হয়েছে কোয়ারেন্টাইন। কিন্তু কোয়ারেন্টইনগুলিতে চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি বারবারই সামনে আসছে।
মণিপুরের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ঘটে গেল অবাক করা কাণ্ড। আর তা সোশ্যাল মিডিয়া তা পোস্ট করে জানালেন, টেমেনলং জেলার ডেপুটি কমিশনার আর্মস্ট্রং পাম। তিনি জানিয়েছেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের নজরদারীর ফাঁক গোলে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য চম্পট দিয়েছিল দুই যুবক। কিন্তু কোয়ারেন্টাইনে ফিরে আসার সময় তারা সঙ্গে করে নিয়ে আসে নেশার সামগ্রী।
ওই যুবকরা সঙ্গে নিয়ে এসেছিল মদ গাঁজা আর সিগারেট। দুই যুবকই কোয়ারেন্টাইনে সেন্টারে থাকা বাকিদের কাছে সেই মদ গাঁজা আর সিগারেট বিক্রি করছিল বলে অভিযোগ। টেমেনলং-এর ডেপুটি কমিশনার এই লেখা পোস্ট করার সময় নিজের অসহায়তাও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কী ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হয়েছে তা বলা যায় না। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করে বাড়ি থেকে মোটরবাইক নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে ফেরত আসে দুই যুবক। আসার সময় সঙ্গে এনেছিল প্রায় আট লিটার স্থানীয়ভাবে তৈরি মদ আর চারটি গাঁজা ও সিগারেটের প্যাকেট। তিনি আরও বলেছেন, যেহেতু ওই যুবকরা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে তাই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়ে তাদের কিছুই বলা যায় না। গায়ে হাত তোলা অনেক দূরের কথা। আর এদের জরিমানা করলে তা সহজেই এরা দিয়ে দিতে পারবে। কারণ বাইরে থেকে আনা জিনিস এরা চড়া দামেই বিক্রি করে। এদের আলাদা করে রাখার মত জায়গা আমাদের হাতে নেই। তিনি আরও বলেছেন করোনাসংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এমনকি ধর্মীয় প্রতিষ্টানও পাশে দাড়িয়েছে প্রশাসনের। তারপরেও কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষগুলোর হুঁশ নেই।
আর দিন কয়েক আগেই ন্য়াশানাল কনফারেন্স নেতা ওরম আব্দুলাহ একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন যেখানে দেখাযায় কোয়ারেন্টাইনে রীতিমত খেলাধূলা চলছে। তিনি লিখেছিলেন অনেক জায়গা রয়েছে। খেলা করা যাবে। কোয়ারেন্টাইনে সময় কাটানো যাবে।
ত্রিপুরা থেকেও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে কোয়ারেন্টাইনে বহালতবিয়েতে চলছে নাচ আর গান।
তবে কোয়ারেন্টাইনে কিছুটা কঠোর আইন খুবই জরুরী। তা না হলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে দেখা যায়।