
2025 Numbeo Safety Index: নিরাপত্তা মানে কোনও দেশের শুধু আইন শৃঙ্খলার বহর, পুলিশের সংখ্যা কত, তা নয়, বরং নাগরিকরা দেশে কতটা নিরাপদ বোধ করেন, সেটাই মূল সূচক। Numbeo’র ২০২৫ সালের মধ্যবর্তী সুরক্ষা সূচক সেটাই ইঙ্গিত দেয়। এই রিপোর্ট বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের নিজস্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তৈরি বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিচ্ছবি। সম্প্রতি প্রকাশিত Numbeo-এর ২০২৫ সালের মধ্যবর্তী সুরক্ষা সূচক (Safety Index) অনুযায়ী, সবার উপরে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE)। অপরাধের হার কম, আইনশৃঙ্খলা কড়া এবং রাত-বিরাতে চলাচলের সুবিধা, এইসব কারণে প্রথম স্থানে এসেছে দেশটি।
ইরাক - ৫৮.১ স্কোর শ্রীলঙ্কা - ৫৭.৭ স্কোর পাকিস্তান - ৫৭.৬ স্কোর ভারত - ৫৫.৭ স্কোর
অন্যতম জনবহুল এবং দ্রুত বিকাশশীল অর্থনীতি হওয়া সত্ত্বেও, ভারতের স্থান ৬৬ নম্বরে। যা আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির ক্ষেত্রে ভালো ইঙ্গিত নয়, উদ্বেগের কারণ। ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, এমনকী ইরাক। এমন দেশগুলি যাদের রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলার অবস্থা বহুবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
Numbeo হল বিশ্বের বৃহত্তম ব্যবহারকারী-ভিত্তিক তথ্যভাণ্ডার, যেখানে নাগরিকরা তাদের নিজেদের দেশের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। এখানে মানুষের জীবনযাত্রার মান, অপরাধের আশঙ্কা, বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে।
নিরাপত্তা সূচক বা Safety Index তৈরি হয় মূলত নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে-
নিরাপত্তা সূচক কোন দেশের অর্থনীতি, পর্যটন এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে তৈরি হয়। যা পর্যটকদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী, পড়ুয়া এবং অভিবাসনের ইচ্ছুকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশ দেয়।
এই তালিকায় প্রধানত ছোট ও স্থিতিশীল রাষ্ট্রগুলির আধিক্য লক্ষণীয়। শক্তিশালী আইন প্রয়োগ, কম দুর্নীতি এবং নাগরিক সচেতনতা তাদের নিরাপত্তা উন্নত করতে সাহায্য করেছে।
এই দেশগুলিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্বল প্রশাসন, অপরাধ চক্রের প্রভাব এবং অর্থনৈতিক দুর্দশা সুরক্ষা পরিস্থিতি খারাপ করে তুলেছে।
বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে ৯১-তম স্থানে। ভারতের চেয়েও পিছিয়ে! হিংসা-অপরাধ, বর্ণবৈষম্য, এবং নাগরিকদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা-এইসবই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রেটিং কমিয়ে দিয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।