জলের ট্যাঙ্কে ফিনাইল মিশিয়ে পুলিশ হত্যার চেষ্টা, শেষরক্ষা হল না হিজরে-বেশী দুষ্কৃতীদের

কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বন্দি পুলিশ কর্মীরা

সেখানেই তাদের পানীয় জলের ট্যাঙ্কে  মিশিয়ে দেওয়া হল বিষ

পুলিশ হত্যার দুঃসাহসিক চেষ্টা চালালো তিন হিজরে-বেশী দুষ্কৃতী

কেন এমনটা করল তারা

 

amartya lahiri | Published : Jun 11, 2020 5:56 PM IST

দুঃসাহসিক বললেও কম বলা হয়। করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে আছেন পুলিশকর্মীরা। আর সেই সুযোগে সেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের পানীয় জলের ট্যাঙ্কে ফিনাইল মিশিয়ে তাদের হত্যার চেষ্টা করল তিন দুষ্কৃতী। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি পুরুষ হয়েও হিজরের ছদ্মবেশে থাকা ওই তিনজনের। পঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার যোধেওয়াল বস্তি থানার পুলিশ।

যোধেওয়াল থানার এসএইচও সাবইন্সপেক্টর অর্শপ্রীত কৌর গ্রেওয়াল কোভিড -১৯ ইতিবাচক সনাক্ত হওয়ার পর তাঁর সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল এবং আরেকজন সাব ইন্সপেক্টরকে যোধেওয়ালের কৃষ্ণ কলোনীতে একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করে রাখা হয়েছিল। পরে আরো পুলিশকর্মী কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় তাদেরও সেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেই রাখা হয়েছিলয

ওই কনস্টেবল জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি যখন জল খেতে দিয়ে ফিনাইলের তীব্র গন্ধ পেয়েছিলেন। সন্দেহ হওয়াতে তিনি জলের ট্যাঙ্ক পরীক্ষা করতে যান এবং এতে দেখেছিলেন জলে ফিনাইল মেশানো হয়েছে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছিল স্থানীয় তিন হিজরেকে ছাদে জলের ট্যাঙ্কের কাছে ঘুরঘুর করতে দেখা গিয়েছিল।

এরপরই পুলিশ সন্ধান চালিয়ে আটক করে গুনিয়া ওরফে নিতিকা খুনসি (২৫), গৌরব (২৫) এবং সিমরন (২৪) নামে তিনজনকে। পুলিশের দাবি এই তিনজনই পুরুষ, তবে হিজরের ছদ্মবেশে থাকে। তিনজনেই দাগি অপরাধী। মাদকদ্রব্যের চোরাচালান, ছোটখাট চুরি-ডাকাতি করে থাকে। জিজ্ঞাসাবাদ করায় তারা অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়েছে।

কিন্তু, কেন এমনটা করল তারা? পুলিশ জানিয়েছে, গত ডিসেম্বরে গুনিয়ার ভাই যতিন্দর সিং পাপ্পিকে ছিনতাই-এর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে। সেই ঘটনার থেকে গুনিয়া মনে পুলিশের বিরুদ্ধে একটা আক্রোশ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া লকডাউনে তাদের মাদকদ্রব্য চোরাচালানের কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সব রাগ গিয়ে পড়েছিল পুলিশের উপরই। সেই রাগের বশেই এমনটা করেছে সে এবং তার দুই সাগরেদ, বলে স্বীকার করেছে গুনিয়া। পুলিশকে শিক্ষা দিতে চেয়েছিল সে।

 

Share this article
click me!