একদিনে সংক্রমণ প্রায় ৩৫০০০, মৃতও প্রায় ৭০০ - ভারতে করোনা ছাড়ালো ১০ লক্ষের গণ্ডি

১০ লক্ষের গন্ডি ছাড়ালো ভারতের করোনা মামলার সংখ্যা

শুক্রবারও ফের দৈনিক রেকর্ড হল ভারতে

গত চারদিন ধরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ

গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্য়ুও হল প্রায় ৭০০ জনের

 

amartya lahiri | Published : Jul 17, 2020 4:45 AM IST

গত চারদিন ধরে ভারতে করোনাভাইরাসের থাবা যেন আরও তীক্ষ্ণ হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে বাড়তে এদিন ভারতে করোনাভাইরাস রোগীর মোট সংখ্যা ১ মিলিয়ন অর্থাৎ ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখনও ভারতের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুই রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ুই। ভারতের মোট করোমনা মামলার ৪৮ শতাংশই এই দুই রাজ্যের। তবে এই দুই রাজ্যের পাশাপাশি কর্ণাটক ও বিহারের মতো অন্যান্য বেশ কয়েকটি রাজ্যেও এখন দৈনিক করোনাভাইরাস মামলা বৃদ্ধির সংখ্যাটা বাড়ছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার সকালে গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে ৩৪,৯৫৬ জন নতুন করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে। বলাই বাহুল্য এদিন আবার একক দিনে করোনা রোগীর সর্বাধিক সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটল। বৃহস্পতিবার ভারতে এককদিনে নতুন রোগীর সংখ্যাটা প্রথমবার ৩০০০০-এর উপরে উঠে গিয়েছিল (৩২,৬৯৫ জন)।  এদিন আরও বাড়ল সংখ্যাটা। সব মিলিয়ে এখন ভারতের মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ১০,০৩,৮৩২'এ পৌঁছেছে।

গত ২৪ ঘন্টায় করোনা জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৬৮৭ জনের। তাতে কোভিড-১৯'এ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫,৬০২-তে। ১০,০৩,৮৩২ টি করোনা মামলার মধ্যে এখনও সক্রিয় রয়েছে ৩.৪ লক্ষেরও বেশি আর ৬,৩৫,৭৫৭ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।

এখনও কোভিড-১৯'এ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলির তালিকায় ভারত তৃতীয় স্থানেই রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৭৭,০০০ জন। তারাই এখনও এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। আর তারপরেই আছে ব্রাজিল। তাদের মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ২০ লক্ষেরও বেশি।

দীর্ঘদিনের লকডাউন পর্ব কাটিয়ে আনলক পর্বে ঢুকেছিল ভারত। কিন্তু, করোনাভাইরাস মহামারি রুখতে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, তামিলনাড়ুর মতো অনেক রাজ্যই ফের আংশিক অথবা সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটছে। তবে শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের আরও অনেক দেশেই ফের করোনার দাপট বাড়ছে এবং তারাও ফের লকডাউন জারি করছে।

আশার কথা এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০টি কোভিড-১৯'এর সম্ভাব্য টিকা মানবদেহে পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। এগুলির পপ্রাপ্ত তথ্য শিগগিরই পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তারপরই শুরু হবে মাস প্রোডাকশন, অর্থাৎ সেই টিকা বাজারজাত করার প্রক্রিয়া।

 

Share this article
click me!