৩৫ জনের কেউ কোভিড আক্রান্ত নন
তাও তাদের থাকতে বাধ্য করা হল কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে
এখন তাঁদের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে
কিন্তু কেন এমনটা করা হল
৩৫ জন ব্যক্তি, তাঁরা কেউই কোভিড আক্রান্ত নয়। তাও তাদের বাধ্য করা হল অন্তত ৩দিন ধরে সরকারি হাসপাতালে অন্যান্য নিশ্চিত কোভিড-১৯ রোগীদের সঙ্গে থাকতে। কারণ কয়েকটি বেসরকারি গবেষণাগারের 'গাফিলতি'তে তাদের সকলের ভুল রিপোর্ট এসেছিল। পরে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিউট অব ভাইরোলজি থেকে জানানো হয় তাঁদের কারোর নমুনা পরীক্ষাতেই করোনার উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের নয়ডাতে।
একে 'গাফিলতি' বলা হলেও করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে এ এক অত্যন্ত বড় অপরাধ। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই গাফিলতচির বিষয় সামনে আসতেই, ওই ৩৫ জন ব্যক্তির সকলকেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের শরীর স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখা হচ্ছে। আগে করোনাভাইরাস আক্রান্ত না হলেও নিশ্চিত করোনা রোগীদের সঙ্গে এই ওয়ার্ডে থাকার পর তাঁদের সংক্রামিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
কীভাবে ঘটল এই গাপিলতি বা অপরাধ? নয়ডা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে যে তদন্তে করাা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে এই ৩৫ জন ব্যক্তিই সর্দি-কাশি ও হালকা জ্বরের সমস্যায় ভুগছিলেন। এক বেসরকারী চিকিৎসককে তাঁরা দেখিয়েছিলেন। তিনি সকলকেই কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে বলেছিলেন। এরপর এরা সকলেই ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি বেসরকারী ল্যাবে পরীক্ষা করান, এবং সেই ল্যাবগুলি জানায় তাদের পরীক্ষার ফল ইতিবাচক এসেছে। এরপরই তাদের সরকারী হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছিল।
তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, বেসরকারী ল্যাবে প্রতিটি পরীক্ষা পিছু ৪,৫০০ থেকে ৫,০০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু, তারা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর-এর নির্দেশিকা পুরোপুরি মানছে না। বেসরতারি ল্যাবের কর্মীদের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে বৈসাদৃশ্য রয়েছে। ল্যাব কর্মীরা যথাযথ তাপমাত্রাতেও নমুনাগুলি রাখছেন না। এইসব বিষয়গুলি পরীক্ষার ফলাফলে প্রভাব ফেলছে।
নয়ডার চিফ মেডিকেল অফিসার দীপক ওহরি জানিয়েছেন, ছয়টি বেসরকারি ল্যাবের পরীক্ষায় ত্রুটির বিষয়ে জানা গিয়েছে। একটি পরীক্ষাগারের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে এবং বাকিদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ল্যাবগুলি তার জবাব দিলে, তারপর সেই উত্তরের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ল্যাবগুলির কয়েকটির সরকারী অনুমতিও নেই।