ভারতে ফের একদিনে করোনাভাইরাস মামলার রেকর্ড বৃদ্ধি ঘটল
এবার প্রায় ৪০০০০ ছুঁয়ে ফেলল দৈনিক বৃদ্ধি
প্রকোপ কমাতে নতুন গবেষণায় নামছে আইসিএমআর
ছয় রাজ্যে যাচাই করা হবে বিসিজি টিকার প্রভাব
ইতিমধ্যে মোট করোনাভাইরাস মামলার সংখ্যায় বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রক জানালো গত ২৪ ঘন্টায় ফের একবার একক দিনে ভারতে সর্বাধিক করোনা কেস বৃদ্ধির রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ৩৮,৯০২ জন। আর এই একই সময়ে করোনা জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৫৪৩ জনের।
এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতের মোট করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা ১০,৭৭,৬১৮। এর মধ্যে সক্রিয় মামলার সংখ্যা ৩,৭৩,৩৭৯। আর সুস্থ হয়ে গিয়েছেন, বা ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছেন এমন রোগীর সংখ্যা ৬,৭৭,৪২৩। আর ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৬,৮১৬ জনের। তবে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর-এর দাবি অনুযায়ী উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে ভারতের করোনা পরীক্ষার সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে মোট ৩,৫৮,১২৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে করোনাভাইরাসের জন্য। আর ১৮ জুলাই পর্যন্ত মোট পরীক্ষা হয়েছে ১,৩৭,৯১,৮৬৯ টি।
এরই মধ্যে, আইসিএমআর যক্ষ্মার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত বিসিজি ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবে বলে জানিয়েছে। এই টিকা করোনভাইরাস সংক্রমণটি রোধ করতে পারে কি না, হটস্পট অঞ্চলে বসবাসকারী প্রবীণ ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের তীব্রতা এবং মৃত্যুর হার কমাতে পারে কি না - এইসব বিষয় যাচাই করার জন্য এটি একটি বহু-কেন্দ্রিক গবেষণা করা হবে। আইসিএমআর-এর এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং দিল্লির মতো করোনা মহামারিতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য়গুলি থেকে ৬০ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ১,৫০০ জন স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে এই গবেষণা চালানো হবে।
অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা জানিয়েছে সুক্রবারের পর শনিবারও বিশ্বজুড়ে একক দিনে রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি ঘটেছে করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যার। রেকর্ড হয়েছে একদিনে সর্বাধিক মৃত্যুর সংখ্যাতেও। তাদের হিসাব অনুযায়ী শুক্র থেকে শনিবারের মধ্যে, ২৪ ঘন্টায় সারা বিশ্বে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২,৫৯,৮৮৮ জন, আর করোনা জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৭,৩৬০ জনের। যার জেরে রবিবার সকালে বিশ্বের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৪২,৩৩,৩৫৫ জন, আর মৃত্যুর সংখ্যা ৬,০০,৫২৩।