অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের ৬টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে, রইল পাক-বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির হিসেব

Saborni Mitra   | ANI
Published : Jun 03, 2025, 08:23 PM IST
Representative image

সংক্ষিপ্ত

ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের উপর যে আক্রমণ চালিয়েছে তার বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, ৬টি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান, দুটি মূল্যবান বিমান, ১০ টিরও বেশি UCAV, একটি C-130 পরিবহন বিমান এবং বেশ কিছু ক্রুজ মিসাইল ধ্বংস হয়েছে। ভারত ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করেছিল।

ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তান বিমানবাহিনীর উপর যে আক্রমণ চালিয়েছে তাতে পাকিস্তানের ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছিল? তার বিল্ষে বিশ্লেষণে দেখার পর্ব শুরু হয়েছে। পর্যালোচনার রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬টি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান, দুটি মূল্যবান বিমান, ১০ টিরও বেশি UCAV, একটি C-130 পরিবহন বিমান এবং বেশ কিছু ক্রুজ মিসাইল ধ্বংস হয়েছে । ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিমান থেকে নিক্ষিপ্ত ক্রুজ মিসাইল এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষিপ্ত মিসাইলের আঘাতে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রায় তছনছ হয়ে গিয়েছিল।

পাকিস্তানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চালানো অভিযানে জড়িত একটি সূত্র ANI কে জানিয়েছে যে, ভারতীয় বিমানবাহিনীর কাছে থাকা তথ্যের প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ অনুযায়ী, অভিযান চলাকালীন ছয়টি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান আকাশেই ধ্বংস হয়েছে। একটি মূল্যবান বিমান, যা হয়তো একটি ইলেকট্রনিক কাউন্টার মেজারস বিমান অথবা একটি এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল বিমান, সুদর্শন দ্বারা প্রায় ৩০০ কিমি দূর থেকে ধ্বংস করা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। সূত্র জানিয়েছে, চার দিনের সংঘাতের সময়, ভোলারি বিমানঘাঁটিতে বিমান থেকে ভূমিতে নিক্ষিপ্ত ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করে সুইডিশ মূলের আরেকটি AEWC বিমান ধ্বংস করা হয়েছে। হ্যাঙ্গারে আরও যুদ্ধবিমান থাকার তথ্য পাওয়া গেছে, কিন্তু পাকিস্তানিরা সেখান থেকে ধ্বংসাবশেষও সরিয়ে নিচ্ছে না বলে, "আমরা মাটিতে থাকা যুদ্ধবিমানের ক্ষতি গণনা করছি না"। এমনটাই জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুন এক সরকারি আধিকারিক।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর রাডার এবং বিমান প্রতিরক্ষা মিসাইল সিস্টেম পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানগুলিকে ধরে ফেলেছিল এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা আঘাত হানার পর সেগুলো অদৃশ্য হয়ে যায়। পাকিস্তান বিমানবাহিনী পাকিস্তানি পাঞ্জাবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ড্রোন হামলার সময় একটি C-130 পরিবহন বিমানও হারিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানি ঘাঁটিতে আক্রমণ করার জন্য শুধুমাত্র বিমান থেকে নিক্ষিপ্ত ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করেছে এবং কোনও ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষিপ্ত ব্রহ্মস মিসাইল ব্যবহার করা হয়নি। রাফাল এবং Su-30 যুদ্ধবিমান দ্বারা একটি হ্যাঙ্গারে হামলার সময়, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চিনা উইং লুং সিরিজের মাঝারি উচ্চতার দীর্ঘস্থায়ী ড্রোন ধ্বংস হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

সংঘাতের সময় পাকিস্তানি আকাশসীমায় বিভিন্ন ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ১০ টিরও বেশি UCAV ধ্বংস করা হয়েছে এবং পাকিস্তানি বিমান ও ভূমি থেকে নিক্ষিপ্ত ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল, যা বিভিন্ন বিমানঘাঁটিতে লক্ষ্য করে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল, ব্যাপকভাবে প্রতিহত করা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় বিমানবাহিনী এখনও সংঘাতের সময় সংগৃহীত বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয় ৬-৭ মে রাতে, যখন ভারত পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানি পাঞ্জাব এবং পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীগদের পরিকাঠামোগুলিকে লক্ষ্য করে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। সংঘাত ১০ মে দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হয়, যখন পাকিস্তান ভারতীয় বিমানবাহিনীর হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ করে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

News Round Up: মোদীর রানাঘাটে জনসভা থেকে নানুরে তৃণমূল বুথ সভাপতি খুন- সারা দিনের খবর এক ক্লিকে
Babri Masjid Bengal : কেউ পক্ষে, কেউ সরব নিন্দায়! বঙ্গে বাবরি মসজিদ নিয়ে ফাটল খোদ মুসলিম সমাজেই!