ফের বালাকোটে পাক হামলা
মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে শুরু হয় গোলাবর্ষণ
সেনাদের পাশাপাশি নিশানায় নাগরিকরাও
মৃত্যু এক ৬০ বছরের বৃদ্ধার।
পূর্ব লাদাখের সীমান্তে চিন সেনার মোকাবিলায় ব্যস্ত রয়েছে ভারতীয় সেনা। আর ভারতের সেই অস্বস্তি আরও বাড়াতে পরিস্থিতির ভরপুর সুযোগ নিতে দাঁত-নখ বার করছে চিনের ঘোষিত বন্ধু পাকিস্তান। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারতীয় পোস্টগুলি লক্ষ্য করে একটানা গোলা বর্ষণ করল পাকিস্তানি রেঞ্জাররা। শুধু তাই নয়, নির্লজ্জের মতো হামলা চালালো সংলগ্ন গ্রামগুলিতেও। যার জেরে প্রাণ চলে গেল এক ৬০ বছরের বৃদ্ধার। আরও এক নাগরিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
পুঞ্চ জেলার পুলিশ প্রধান এসএসপি রমেশ কুমার অঙ্গরাল জানিয়েছেন, মেন্দারের লানজোট এলাকায় এদিন ভোর আড়াইটে থেকে গোলাবর্ষণ করছিল পাকিস্তান। সেখানকার গ্রামগুলিকেও নিশানা করতে ছাড়েনি তারা। এরমধ্যেই একটি পাকিস্তানি মর্টার সরাসরি এসে পড়ে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে। আর সেই আঘাতেই মৃত্যু হয় রেশমা বাই নামে এক ৬০ বছরের বৃদ্ধার। আহত হয়েছে ওই গ্রামেরই আরেক বাসিন্দা হাকাম বাই। তাঁর বয়স ৫৮ বছর। তবে পাক গোলাবর্ষণে সেনাবাহিনীর কোনও কর্মী আহত হননি।
প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দর আনন্দ জানিয়েছেন, রাত ২ টো নাগাদই পাকিস্তান প্রথমে ছোট ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা শুরু করে। তার কিছু পর থেকেই বালাকোট এবং মেন্দার সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তীব্র গোলাবর্ষণ শুরু হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীও যথাযথভাবে তার জবাব দিয়েছে। পৌনে তিনটে নাগাদ গোলাগুলি চালানো বন্ধ হয়।
দিন কয়েক আগেই ভারতের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি লঙঘন করার অভিযোগ এনেছিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সরকারিভাবে সতর্কও করা হয়। কিন্তু, আসল বিষয়টা হল, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত নয়, বরং পাকিস্তানই নিয়মিতভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গোলাবর্ষণ করে থাকে। গত মাসেই যেমন পাক গোলার আঘাতে পুঞ্চ ও রাজৌরি সেক্টরে এলওসি-র কাছে পাঁচ সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল। তবে ক্রমে সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করা শুরু করছে পাকিস্তান। শিশু-বৃদ্ধ আর কাউকেই রেয়াত করছে না িমরানের দেশ।