নেতাজি-র ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের বিরাট পরিকল্পনা, অমিত শাহ-র নেতৃত্বে তৈরি হচ্ছে কমিটি

২০২২ সালে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী

এক বছরের ধরে বিভিন্ন কার্যক্রমের পরিকল্পনা মোদী সরকারের

তার রূপরেখা তৈরি করবে অমিত শাহ-র নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের কমিটি

ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও হবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান

 

amartya lahiri | Published : Dec 21, 2020 4:50 PM IST

২০২২ সালে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী। তার আগে এক বছরের ধরে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে নেতাজিকে স্মরণে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। আর সেই বিষয়ে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারী থেকেই নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর যে বিশাল অবদান তা স্মরণ করার করা শুরু করে দেওযয়া হবে।

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই এই কথা জানিয়ে বাংলায় টুইট করেন। তিনি লেখেন, 'নেতাজী সুভাষ বোসের সাহস সুবিদিত। একজন বিদগ্ধ পন্ডিত, সৈনিক ও শ্রেষ্ট এই জননেতার  ১২৫তম জন্ম জয়ন্তী আমরা শীঘ্রই উদযাপন করতে চলেছি। এজন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি করা হয়েছে। আসুন, আমরা সকলে মিলে বিশেষ এই অনুষ্ঠানটিকে সাড়ম্বরে উদযাপিত করি।' (বানান অপরিবর্তিত)

এই উচ্চ স্তরের কমিটিতে নেতাজি বিশেষজ্ঞ, ইতিহাসবিদ, লেখক, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্য এবং আজাদ হিন্দ ফৌজ বা আইএনএ-র সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা থাকবেন। দিল্লি, কলকাতা এবং নেতাজি ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে যুক্ত ভারতবর্ষের ও বিদেশের বেশ কয়েকটি স্থান জুড়ে এই কার্যক্রম চলবে বলে জানা গিয়েছে। এই কমিটিই সেই কার্যক্রমের রূপরেখা ঠিক করে দেবে।

সাম্প্রতিক অতীতে বারবারই মোদী সরকারকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে সামনের সারিতে আনতে দেখা গিয়েছে। নয়াদিল্লির লাল দুর্গে নেতাজি জাদুঘর ,স্থাপন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কিত ফাইল জনসমক্ষে আনা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নেতাজির ত্রিরঙ্গা উত্তোলনের ৭৫ তম বার্ষিকী উদযাপন এবং সেই উপলক্ষে সেখানকার তিনটি দ্বীপের নাম বদলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস দ্বীপ; শহীদ দ্বীপ, এবং স্বরাজ দ্বীপ করা - এমন অনেক পদক্ষেপই নিতে দেখা গিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নেতাজি শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদী সরকার বারবারই এক ঢিলে দুই পাখি মেরে থাকেন। একদিকে সর্দার প্যাটেলের সঙ্গে কংগ্রেসে বঞ্চিত নেতাদের তালিকাটা বড় হয়। যার ফলে, কংগ্রেসে গান্ধীদের পরিবারেতন্ত্রের তত্ত্বটা আরও জোরদার করা যায়। আবার সেইসঙ্গে এক বাঙালী নেতাকে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে বাঙালি মননকেও ছোঁয়ার চেষ্টা করে বিজেপি। যেমন অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বারবারই স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঋষি অরবিন্দদের উদ্ধৃত করতে দেখা যাচ্ছে।

 

Share this article
click me!