
Roadside Dhaba: পথের ধারে একটি ধাবা—শুধু ট্রাকচালক আর যাত্রীদের ক্ষণিকের পেটপুর্তি নয়, বরং সেটি হয়ে উঠতে পারে এক অর্থনৈতিক চমক। হরিয়ানার অমৃক সুখদেব ধাবা তার জীবন্ত উদাহরণ। প্রায় ৭০ বছর ধরে কোনও বিজ্ঞাপন ছাড়াই, শুধুমাত্র ভাল খাবার ও সেবার মান বজায় রেখে প্রতি মাসে প্রায় ৮ কোটি টাকা আয় করছে এই ধাবা। আসুন জেনে নিই এই বৃহৎ খাদ্য সাম্রাজ্যের গল্প।
১৯৫৬ সালে সর্দার প্রকাশ সিং ছোট একটি তাঁবু দিয়ে শুরু করেন এই ধাবা। পীরে দুই পুত্র অমৃক ও সুখদেব-এর নামে নামকরণ হয়—অমৃক সুখদেব ধাবা। শুরুতে মূল লক্ষ্য ছিল পথচলতি ট্রাক ও লরিচালকদের স্বল্পমূল্যে সৎ, গরম খাবার দেওয়া। প্রথমদিকে ফ্রিতে খাবার দেওয়া হত। ভালো খাবার ও অমায়িক ব্যবহারে ধীরে ধীরে বিশ্বস্ত গ্রাহক আসা শুরু করে।
ছোটো তবু থেকে শুরু করে আজ পাকা ছাদ, প্রায় ১০০ কোটির বিশাল জাঁকজমকপূর্ণ সাম্রাজ্য। হাইওয়ের ধারে ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে এখন। প্রতিদিন অন্তত ৯ থেকে ১০ হাজার গ্রাহক খেতে আসেন অমৃক সুখদেব ধাবায়। আয় বেড়েছে এখন, ধাবা থেকে প্রতি মাসে মালিকদের আয় হয় ৮ কোটি টাকা। প্রায় পাঁচশো'র বেশি কর্মী নিয়ে চলে এই ধাবা। ১৫০টি টেবিলে প্রতি ৪৫ মিনিট অন্তর খাওয়ার নতুন ব্যাচ বসে গ্রাহকদের।
কোন ফ্যান্সি বিজ্ঞাপন নয়, তৃপ্ত গ্রাহকরাই নতুন গ্রাহক টানে। প্রথমে বিনামূল্যে খাবার পাওয়া যেত বলেই গ্রাহকদের ভিড় - এমনটা নয়। ভালো মানের খাবার ও ভালো ব্যবহারে তৃপ্ত গ্রাহকরাই নতুন গ্রাহক আকর্ষণ করে। অমৃক সুখদেব ধাবার মালিক আজও খাবারের স্বাদ নিজে পরখ করেন, ফলে ধরে রাখতে পেরেছেন এতো বছরের ভালো মানের খাবারের সুখ্যাতি। এমনকি বিশ্বস্ত গ্রাহকদের ছাড় দেওয়া হত খাবারের বিলে, এরাই নানা জায়গায় ছড়িয়ে দিতে শুরু করেন ধাবার কথা। যার ফলে গ্রাহকের সংখ্যাও বেড়ে চলে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।