অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর থেকেই অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর তির্যক মন্তব্য করেছেন বিজেপি কর্মী সমর্থক ও মন্ত্রীরা। তাতে যে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হয়েছেন, তাও তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন। মন্তব্য আর পালটা মন্তব্যের মধ্যেই দেশের অর্থমন্ত্রীর ভূয়শী প্রশংসা করলেন অভিজিৎ। তিনি জানিয়েছেন, আটের দশকে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তাঁর বান্ধবী ছিলেন নির্মলা সীতারমণ। অর্থনীতি নিয়ে তাঁদের দুজনের চিন্তা-ভাবনা অনেকটাই মেলে।
একটি সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'জেএনইউতে আমরা প্রায় সমসাময়িক। সীতারমণ সেই সময় আমার বান্ধবী ছিলেন। আমি বিশ্বাস করি অর্থনীতি নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনার বিশেষ কোনও পার্থক্য নেই।' এছাড়াও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মানুষ হিসেবে সীতারমণ অত্যন্ত ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তাঁর সঙ্গে আমার রাজনৈতিক বিশেষ কোনও মতপার্থক্য ছিল না বলে আমার মনে হয়।' নোবেল জয়ের পর সীতারমণ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কি না জানতে চাওয়া হলে অভিজিৎ বলেন, 'তিনি আমাকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমি সেই শুভেচ্ছা পেয়ে খুশি।'
ভারতের অর্থনীতি প্রসঙ্গে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভারতের অর্থনীতি এখন অত্যন্ত সংকটে রয়েছে। এরপরেই পরোক্ষে তিনি বিজেপির সমস্ত বিরোধী মন্তব্যের জবাব দেন। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি শুধু এই সরকারের সমালোচনা করছি না। আপনারা যদি একটু আমার পুরনো বক্তব্যগুলো শোনেন, বুঝতে পারবেন আমি ইউপিএ সরকারেরও সমালোচনা করেছিলাম।' এই সব বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় যেন বোঝাতে চেয়েছন, সমস্ত বিতর্ক ভুলে দেশের সংকটে একসঙ্গে কাজ করা এখন একান্ত প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যলয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতোকত্তর হন। অন্য দিকে, নির্মলা সীতারমন ১৯৮৪ সালে অর্থনীতিতে এমফিল করেন জেএনইউ থেকে।