
দিল্লিতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে নিজেদের থাকার ফ্ল্যাটেই শ্বাসরোধ করে খুন করেছিলেন প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। খুন করার পর দেহ লোপাটের চেষ্টায় ৩৫ টুকরো করেছিলেন তিনি। কিন্তু, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছিল যে, শ্রদ্ধার দেহাংশ ঘরের মধ্যে থাকাকালীনই অন্য আরেকজন মহিলাকে ফোন করেছিলেন আফতাব। কে সেই মহিলা? সেই রহস্যই এবার ফাঁস করলেন তদন্তকারীরা।
আফতাবকে জেরা করে এই মহিলার হদিশ পান পুলিশ কর্তারা। বাম্বল ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে এঁর খোঁজ পেয়েছিলেন আফতাব। শ্রদ্ধাকে মেরে ফেলার পরেই অ্যাপের মাধ্যমে ফোন নম্বর নিয়ে দ্বিতীয় এই মহিলাকে কল করেন তিনি। তাঁকে কল করে পুলিশ জানতে পারে, এই মহিলা পেশায় একজন সাইকোলজিস্ট, দিল্লি শহরেই তিনি কাজ করেন। ‘বাম্বল’ অ্যাপ, যে অ্যাপের দ্বারা আফতাব শ্রদ্ধাকে খুঁজে পেয়েছিলেন, সেই একই অ্যাপে আফতাবের নজরে পড়েছিলেন এই সাইকোলজিস্টও। তবে, কী কারণে সাইকোলজিস্টকে ফোন করেছিলেন আফতাব?
তদন্তে নেমে বোঝা যায়, মানসিক অবস্থার সঙ্গে জড়িত কোনও কারণে নয়, বরং সোজাসুজি শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়াই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। ফ্রিজ এবং আলমারিতে যখন শ্রদ্ধার কাটা মাথা সহ দেহের অন্যান্য অংশ লুকিয়ে রাখা ছিল, ঠিক সেই সময়েই আফতাবের ছলনায় ভুলে একই ফ্ল্যাটে পা রাখেন এই দ্বিতীয় মহিলা। তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও তৈরি হয় সেই দিনেই। তবে, ফ্ল্যাটে থাকাকালীন দেহ সংক্রান্ত কোনও সন্দেহের আঁচ এতটুকুও স্পর্শ করেনি দিল্লির এই সাইকোলজিস্টকে। এই বিষয়েই বিস্তারিত তদন্তের জন্য তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে দিল্লি পুলিশ। অন্যদিকে, আফতাবের চ্যাট বা ক্রিয়াকলাপ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের জন্য ‘বাম্বল’ অ্যাপের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে, সেখান থেকেও তথ্য সংগ্রহ করবেন তদন্তকারীরা।
আপাতত পুলিশের আর্জি শোনার পর দিল্লি আদালত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ধৃত আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে। আজই দিল্লির তিহার জেলে স্থানান্তরিত করা হবে তাঁকে। সোমবার ফের তাঁর নারকো অ্যানালাইসিস পরীক্ষা করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন-
সরকারি চাকরিতেও আবেদনের সুযোগ, রূপান্তরকামীদের জন্য বিল আনার উদ্যোগে প্রশংসিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার
বাংলায় ফের অ্যাসিড হামলার শিকার এক গৃহবধূ, পরকীয়া সম্পর্কের সন্দেহে হিংস্র আক্রমণ স্বামীর
ডিসেম্বরের আগে শীত অধরাই রইল পশ্চিমবঙ্গে, কুয়াশায় মোড়া সকাল কেটে গেলেই বাড়ছে রোদের তেজ