গ্রেটার নয়ডায় যৌতুকের কারণে গৃহবধূ-কে হত্যার অভিযোগে স্বামীর পর গ্রেপ্তার শ্বাশুড়িও!

Published : Aug 25, 2025, 08:54 AM IST
Greater Noida dowry murder case

সংক্ষিপ্ত

গ্রেটার নয়ডায় নিকি পায়ালার যৌতুকজনিত হত্যাকাণ্ডে তার স্বামী বিপিন ভাটি গ্রেপ্তার। পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টায় বিপিনের পায়ে গুলি। শাশুড়ি-সহ পরিবারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ।

গ্রেটার নয়ডায় পণের জন্য হত্যা: গ্রেটার নয়ডায় যৌতুক হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত নিকি পায়ালা মামলায় পুলিশ বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এই পুরো ঘটনাটি কেবল এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেনি, বরং আবারও সমাজে যৌতুক এবং পারিবারিক হিংসার তিক্ত বাস্তবতা প্রকাশ্যে আসছে।

নিকি পায়ালা হত্যা মামলা: ঠিক কী ঘটেছিল?

পুলিশের মতে, মৃত নিকি পায়ালার স্বামী বিপিন ভাটি এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত। বলা হচ্ছে যে পুলিশ তাকে মেডিকেল চেকআপ এবং প্রমাণ সংগ্রহের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। এই সময় বিপিন পুলিশের পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং ঘটনাস্থল থেকে পালাতে শুরু করে। সতর্ক করার পরেও সে থামেনি, পুলিশ গুলি চালায়। গুলিটি তার পায়ে লাগে এবং সে ধরা পড়ে।

নিকি পায়ালার মৃত্যুতে পুরো গ্রাম হতবাক। অভিযোগ করা হচ্ছে যে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে নির্মমভাবে মারধর করে এবং তারপর আগুন ধরিয়ে দেয়। গুরুতর দগ্ধ হওয়ার কারণে নিকির মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে গ্রামে ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং শ্বশুরবাড়ির বাড়ি খালি পড়ে আছে, যা এখন তালাবদ্ধ।

পরিবার এবং গ্রামবাসীদের প্রতিক্রিয়া কী?

নিকির বাবা পুলিশের এই পদক্ষেপকে ন্যায্যতা দিয়েছেন। একই সঙ্গে, গ্রামের লোকেরা অভিযুক্ত স্বামী এবং তার পরিবারের সামাজিক বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। যা পরিবেশকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছে।

অভিযুক্তের অতীত নিয়ে প্রশ্ন কেন?

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বিপিন ভাটির স্বভাব ছিল অশ্লীল। অন্যান্য মেয়েদের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা ইতিমধ্যেই আলোচনায় ছিল। ২০২৪ সালে, দিল্লিতে একটি মেয়ের সঙ্গে ধরা পড়ে, যখন পরিবার তাকে মারধর করে। সেই সময়ের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছিল। এই ঘটনাগুলি দেখায় যে অভিযুক্তের চরিত্র ইতিমধ্যেই বিতর্কিত।

খুনের পর পুলিশের বড় পদক্ষেপ: স্বামী, শাশুড়ির কারাগারের পিছনে

এই মামলায় কাসনা পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং প্রথমে অভিযুক্ত স্বামী বিপিনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় বিপিন পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে, যার পরে তার পায়ে গুলি লাগে। পুলিশ তদন্তে জানা যায় যে, শাশুড়ি দয়াবতীও এই খুনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। অভিযোগ করা হয়েছে যে দয়াবতী ছেলেকে দাহ্য পদার্থ সরবরাহ করেছিলেন, যা দিয়ে তিনি নিকিকে জীবন্ত পুড়িয়েছিলেন।

নিকির বোনের অভিযোগ: "এই খুনের সঙ্গে পুরো পরিবার জড়িত"

মৃত নিকির বোন কাঞ্চন পুলিশের কাছে দেওয়া জবান বন্দিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। কাঞ্চনের মতে, বিপিন, তার মা দয়াবতী, ভাই রোহিত এবং বাবা সতবীর মিলে এই খুনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কাঞ্চন তার বোনকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু অভিযুক্ত তাকে থামিয়ে দেন। এই বক্তব্যের পর, পুলিশ খুনের ধারায় পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

News Round Up: মোদীর রানাঘাটে জনসভা থেকে নানুরে তৃণমূল বুথ সভাপতি খুন- সারা দিনের খবর এক ক্লিকে
Babri Masjid Bengal : কেউ পক্ষে, কেউ সরব নিন্দায়! বঙ্গে বাবরি মসজিদ নিয়ে ফাটল খোদ মুসলিম সমাজেই!