Ahmedabad Plane Crash: মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০০, কেমন আছেন বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত রমেশ বিশ্বরূপ
সংক্ষিপ্ত
আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন যাওয়ার পথে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ড্রিমলাইনার ৭৮৭ বোয়িং বিমান ভেঙে পড়েছে। ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে মাত্র একজন বেঁচে আছেন, যার নাম রমেশ বিশ্বরূপ। বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই ভেঙে পড়ে।
ওড়ার পরমুহূর্তে অন্তত ২৪২ জন যাত্রীকে নিয়ে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার ৭৮৭ বোয়িং বিমান। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ঘটে দুর্ঘটনা। লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করার পরই ভেঙে পড়ে আহমেদাবাদ- লন্ডনগামী AI 171 বিমানটি ভেঙে পড়েছে। বিমানে ২৩০ জন যাত্রী-সহ মোট ২৪২ জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যাদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন বেঁচে আছেন। বর্তমানে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০০। তা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।
সরকারি হিসেব বলেছে, এই বিমানে যাত্রী এবং বিমানকর্মী মিলিয়ে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। এছাড়াও ৫৩ জন ব্রিটিশ, এক জন কানাডিয়ান, সাত জন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। ছিলেন ১০ জন ক্রু সদস্য। জানা যাচ্ছে, এই বিমানে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। যিনিও প্রয়াত হন এই দুর্ঘটনায়। বিমানটিতে ক্যাপ্টেন সুমিত সভরওয়ালের কমান্ডে ছিল, সহ পাইলট ছিলেন ক্লাইভ কুন্ডার। ক্যাপ্টেন সুমিত সভরওয়াল একজন এলটিসি, যার ৮২০০ ঘন্টার অভিজ্ঞতা ছিল। সহ পাইলট ক্লাইভ কুন্ডারের ১১০০ ঘন্টার অভিজ্ঞতা ছিল।
মৃত্যু এখানেই শেষ নয়। আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ১৫ কিমি দূরে মেঘানী নগরের বিজে মেজিকেল কলেজের ইউজি হোস্টেলের মেসের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। ভেঙে পড়ার পরমুহূর্তে বিস্ফোরণ হয়। বিমান দুর্ঘটনায় ২০ জন জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যুর আশঙ্কা ছিল। তেমনই ৫০-৬০ জন চিকিৎসক গুরুতর আহত হলে জানা গিয়েছিল।
এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে একমাত্র বেঁচে যান রমেশ বিশ্বরূপ। বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্রা জীবিত তিনি। তবে, তিনি কীভাবে বেঁচে গেলেন তা কেউ বলতে পারছেন না। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে, খুব বেশ চোট লাগেনি তাঁর। রমেশ বিশ্বরূপের সঙ্গে দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
জানা গিয়েছে, রমেশ বিশ্বরূপ দিউ থেকে আসা একজন প্রবাসী ভারতীয়। দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানের ১১এ সিটে ছিলেন তিনি। বিমানটি দুর্ঘচনার কবলে পড়ে আগুনে জ্বলে যাওয়ার আগে তিনি জরুরি বহির্গমন পথ ব্যবহার করে লাফিয়ে পড়েছিলেন বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তাঁর কোনও পোড়া আঘাত ছিল না।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর একটা বড় বিস্ফোরণ হয়। সর্বত্র আগুন জ্বলছিল। আমাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি বেঁচে আছি, এটা একটা অলৌকিক ঘটনা।
প্রসঙ্গত, চালু আছে হেল্প ডেস্ক। মন্ত্রক প্রকাশ করেছে হেল্পলাইন নম্বর। সেটি হল ০১১-২৪৬১০৮৪৩ এবং ৯৬৫০৩৯১৮৫৯। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা কত এখনও তা নিশ্চিত করা হয়নি। কারণ, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই বিমান ভেঁঙে পড়ে। সে কারণে মৃত্যু সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে বলে অনুমান করছেন সকলে।