
Viral Video of Air Force Officer: বেঙ্গালুরু আক্রান্ত ভারতীয় বিমান বাহিনীর একজন কর্মকর্তা আর তাঁর স্ত্রী। বিমানবন্দরে যাওয়ার পথেই একদল লোক তাদের আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। উইং কমান্ডারের মুখ আর মাথায় আঘাত লেগেছে। অফিসার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। উইং কমান্ডারের স্ত্রী স্কোয়াড্রন লিডার। তাঁরা বেঙ্গালুরুর সিভি রমন নগরের ডিআরডিও কলোনি থেকে বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই আক্রান্ত হন।
উইং কমান্ডার আদিত্য বোস ও তাঁর স্ত্রী স্কোয়াড্রন লিডার মধুমিতা বোস একই সঙ্গে ছিলেন। আদিত্যকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। আর স্ত্রী মধুমিতার উদ্দেশ্যে আশালীন মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় আদিত্য তাঁদের ওপর হওয়া অকথ্য অত্যাচারের কথা বলেছেন। আদিত্য বোস জানিয়েছেন ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ এপ্রিল। দম্পতি সিভি রমন নগরের ডিআরডিও কলোনি থেকে বিমানবন্দরে যাচ্ছিল তখনই এক বাইক আরোহী তাদের গাড়ি থামিয়ে কন্নড় ভাষায় অকথ্য কথা বলতে শুরু করেন। বোস আরও বলেন, বাইক আরোহী তাদের গাড়িতে ডিআরডিও স্টিকার দেখতে পান তখন আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বাইক আরোহী তাঁর আর স্ত্রীর ওপর চড়াও হয়। তাদের উভয়ের উদ্দেশ্যই অপ্রীতিকর আর অবমাননাকর মন্তব্য করেন। আদিত্য ওই লোকটিকে সরাতে গেলেই সে চড়াও হয়।
বাইক আরোহী বাইকের চাবি দিয়ে আদিত্য বোসের কপাল লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারেন। আদিত্য বোস আরও জানিয়েছেন, সেই সময় রস্তায় উপস্থিত ব্যক্তিরাও তাদের ওপর চড়াও হয়। একব্যক্তি পাথর ছুঁড়ে তাদের মারে। ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই অফিসার আহত অবস্থায় একটি ভিডিও রেকর্ড করেন। তাঁর মুখ আর ঘাড়ের রক্তেভেজা ছবি শেয়ার করেন। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা এশিয়নেট নিউজ বাংলা যাচাই করেনি।
ভিডিওতে, অফিসারটি বলছেন: "পিছন থেকে একটি বাইক এসে আমাদের গাড়ি থামিয়ে দেয়। লোকটি কন্নড় ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করতে শুরু করে। যখন তারা আমার গাড়িতে DRDO স্টিকার দেখে বলে 'তোমরা DRDO লোক'... তখন তারা আমার স্ত্রীকেও গালিগালাজ করে। আমি গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই বাইকারটি আমার কপালে চাবি দিয়ে আঘাত করে, এবং রক্ত ঝরতে থাকে।" আক্রান্ত অফিসার প্রশ্ন তুলেছেন, প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা কোনও মানুষের সঙ্গে সাধারণ মানুষ কী করে এজাতীয় আচরণ করতে পারে! তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী সঙ্গে ছিল বলেই তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে তিনি কোনও সাহায্য পাননি। তিনি ভিডিও শেষ করেছেন এই বলে, 'ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করুন। ঈশ্বর আমাকে প্রতিশোধ না নেওয়ার শক্তি দিন। আগামীকাল, যদি আইন-শৃঙ্খলা আমাদের সাহায্য না করে, আমি প্রতিশোধ নেব।'
সেনা অফিসারের এই ভিডিও শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়। সেনা অফিসার বোস আরও বলেছেন, তাঁর বাবা শারীরিক অসুস্থ। তাই তাঁর কলকাতা যাওয়ার প্রয়োজন ছিল।
পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। উইং কমান্ডার কলকাতায় যাওয়ার তাড়াহুড়ো করায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি, তবে পরে তার স্ত্রী বাইয়াপ্পানাহল্লি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করা হয় এবং পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।