Air India plane crash news: শেষ মুহূর্তের বার্তা এবং মাত্র কয়েকটা সেকেন্ড। তারপরই সব শেষ! ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ভারতের বুকে। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবথেকে বড় প্লেন ক্র্যাশ। আহমেদাবাদ থেকে টেক অফ করে লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমানটির (air india plane crash update)। কিন্তু বৃহস্পতিবার, যাত্রা শুরুর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বিজে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে এটি (air india plane crash news)।
বিমানটিতে ১৫৮ জন ভারতীয় ছাড়াও ৫৩ জন ইংল্যান্ডের নাগরিক, ১ জন কানাডার নাগরিক এবং ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। আর তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, কীভাবে ঘটল এত বড় দুর্ঘটনা?
‘‘মে ডে, মে ডে, মে ডে। নো পাওয়ার, নো থ্রাস্ট, গোয়িং ডাউন।" দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল তথা এটিসি-কে মাত্র এই কয়েকটা শব্দ বলেই বিপদ সঙ্কেত পাঠিয়েছিলেন বিমানের পাইলট সুমিত সবরওয়াল। মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের বার্তা ছিল সেটি। আর তারপরই সেই ভয়ানক এবং আকস্মিক দুর্ঘটনা। আহমেদাবাদের মেঘানিনগরে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমান।
দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা তথা ডিজিসিএ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১.৩৯ মিনিটে বিমানটি রানওয়ে থেকে টেক অফ করার পরেই এটিসি-কে ‘মে ডে কল’ করেন সেই বিমানের পাইলট। কিন্তু বিমানের সঙ্গে তারপর যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও আর জবাব পাওয়া যায়নি। কারণ, হাতে সময় ছিল না একটুও।
বিমানটি ওড়ার মাত্র ৪০ সেকেন্ডের মধ্যেই এটিসি-র সঙ্গে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পাইলটদের। বৃহস্পতিবার, দুপুর ১.৩৯ মিনিটে টেক অফ করে এবং ১.৪০ মিনিটেই ভেঙে পড়ে। অর্থাৎ, এই এক মিনিট সময়ের মাঝেই এটিসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন পাইলট এবং তিনি সেই বিপদবার্তা পাঠান।
যদিও ঐ সময়ে আসল ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল, তা বিমানের ব্ল্যাকবক্স থেকেই জানা যাবে বলে দাবি করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ চলাকালীন একটি ব্ল্যাকবক্স খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে দ্বিতীয় ব্ল্যাকবক্সটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। তবে এই দুর্ঘটনার সঠিক এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া আলাদাভাবে তদন্ত চালাচ্ছে বেশ কয়েকটি সংস্থাও। এদিকে এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিমানযাত্রী, ক্রু মেম্বার, পাইলট এবং হোস্টেলের পড়ুয়া সহ মোট ২৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
‘থ্রাস্ট’ হল এক ধরনের বিশেষ শক্তি। যা বিমানকে মেঘ কাটিয়ে হাওয়ায় ভাসতে সাহায্য করে। এই শক্তি বিমানের ইঞ্জিন থেকেই অটোমেটিকভাবে তৈরি হয়। তবে বাইরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে অনেক সময় এই থ্রাস্ট আবার কমে যেতে পারে। তাই উড়ানের সময় সঠিক থ্রাস্ট নির্ধারণ করে নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি একটা বিষয়। কিন্তু যদি পাইলট ভুল করে কম থ্রাস্ট নির্ধারণ করে ফেলেন কিংবা এই থ্রাস্ট নির্ধারণের ক্ষেত্রে যদি তাঁর হিসেবের কোনও গন্ডগোল হয়ে যায়, তাহলে বিমান আর উপরের দিকে উঠতে পারবে না।
এক্ষেত্রে আসলে কী হয়েছিল, তা জানতে গেলে হয়ত আরও একটু সময় লাগবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।