
36-digit rupee:ভাল স্বপ্ন মনে হয় ক্ষণস্থায়ী হয়! অনেকট তেমনই হল উত্তরপ্রদেশের হাথরসের এক কৃষকের সঙ্গে। ক্ষণস্থায়ী বিশ্বের সবথেকে ধনী মানুষ! রাতারাতি তাঁর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ৩৬ অঙ্কের ব্যালেন্স দেখেন। যা দেখে তিনি তো বটেই তাঁর স্ত্রীও হতবাক হয়ে যান। আনন্দ যত না বেশি হয়, তার থেকে বেশি গোটা পরিবার ভয় পেয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে চেয়ে গোটা পরিবারই ছোটেন পুলিশের কাছে।
এই ঘটনা গত ২৪ এপ্রিল থেকে ঘটছে। প্রথমে হাথরাসের বাসিন্দা অজিতের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৮০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। ওই একই দিনে আরও একবার তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয় ১৪০০। কিন্তু আসল ঘটনা ঘটে পরের দিন অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল। সেই দিন তাঁর ব্যাঙ্ক একসঙ্গে ঢোকে ১,০০,১৩,৫৬,০০,০০,০১,৩৯,৫৪,২১,০০,২৩,৫৬,০০,০০,০১,৩৯,৫৪২ টাকা। ৩৬ অঙ্কের সংখ্যা দেখে চমকে যায় গোটা পরিবার। আনন্দ হয় এক টাকা দেখে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে কোনও জালিয়াতের খপ্পরে তারা পড়েছে কিনা তা নিয়ে আতঙ্ক বাড়তে থাকে।
প্রচুর প্রচুর টাকা ব্যাঙ্কে ঢুকেছে। এই ঘটনার পরই প্রতারকদের টার্গেট গওয়ার আশঙ্কা বাড়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। কারণ অজিত ও তাঁর স্ত্রী খেটে খাওয়া একটি সৎ কৃষক পরিবার। ব্যাংকিং কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখানেই তাঁকে বলা হয় ক্রেডিটটি একটি ব্যাংকিং-এর প্রযুক্তিগত ত্রুটি। জম্মু ও কাশ্মীরের একটি শাখা থেকে ট্র্যাক করা হয়েছিল। তিনি পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। বিশেষ করে সাইবার ক্রাইম বিভাগের সঙ্গে। সেখানেও এই বিষয়ে একটি আবেদন জমা দেন। অজিত এখন চিন্তিত যে তাঁর অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে!
অজিতের ব্যাঙ্কে ঠিক কত টাকা ছিল- তা কিন্তু তাঁর গণনার বাইরে। কারণ ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সে বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি ও স্পেসএক্সের সিইওর মোট সম্পদের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। ব্লুমবার্গ বিনিয়নেয়ার্স ইন্ডেক্স অনুসারে যার মোট সম্পদের পরিমাণ ২,৮৪,১৭,৬৯,২৭,১০,৪০০ টাকা, যা ১৪-অঙ্কের। কিন্তু অজিতের অ্যাকাউন্টে ছিল ৩৬ অঙ্কের টাকা।