খেলনাবাটি খেলতে খেলতে অন্ধকারে হারিয়েছে আলিগড়ের ছোট্ট মেয়েটি

  • গোটা ঘটনায় হতবাক হয়ে গিয়েছে তাপ্পলের বাসিন্দারা।
  • তাঁরাও ক্রোধে ফুঁসছেন।
  • মাত্র দশ হাজার টাকা নিয়ে ঝামেলা।

arka deb | Published : Jun 9, 2019 8:38 AM IST

আলিগড়ের তপ্পলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার আড়াই বছরের মেয়েটি মৃত্যুর দিন সকাল থেকে খেলায় মেতেছিল। রান্নাবাটি জড়ো করে কখনও রান্না করা, কখনও  গাড়ি চালিয়েছে। সদ্য স্কুলে ভর্তি হওয়ার কারণে ফূর্তিতেই ছিল সে। 

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে শিশুটির মা জানাচ্ছেন, "আমার মেয়ে প্রতিদিন ঝকঝকে পোশাক পরে স্কুলে যেতে ভালবাসত। নিজেই উঠে যেত সাতসকালে। আমরা ভাবতাম ও একদিন পুলিশ অফিসার হবে। এদিন স্কুল ছুটি ছিল ওর।‌"

গোটা ঘটনায় হতবাক হয়ে গিয়েছে তাপ্পলের বাসিন্দারা। তাঁরাও ক্রোধে ফুঁসছেন। মাত্র দশ হাজার টাকা নিয়ে ঝামেলা। তার জেরেই আলিগড়ের তাপ্পল এলাকায় এই সময়ের সবচেয়ে নৃশংস খুনটি হয়েছে গত ৩০ মে। খুনীর রোষের মুখে পড়েছে আড়াই বছরের ছোট্ট মেয়ে। আসরে নেমে পুলিশও দিশেহারা। এই শিশুকন্য়া হত্য়ার ঘটনায় দেশ জুড়ে সরব হয়েছে নেটিজেনরা। চালু হয়েছে শিশুটির নামে হ্যাশট্যাগ। মোমবাতি মিছিলও করেছেন আলিগড়ের বাসিন্দারা। প্রত্যেকেরই দাবি দোষীদের কঠিন শাস্তি দিতে হবে। 

ইতিমধ্যে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি জাহিদ ও আসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জাহিদ ও আসলাম স্বীকারও  করেছেন এই নৃশংস হত্যার কথা। ছোট্ট মেয়েটির দাদু তাঁর পাওনা ১০০০০ টাকা চেয়েছিল, সেই কারণেই জাহিদ ও আসলাম খুন করে তাঁর নাতনিকে। গ্রেফতার হয়েছে জহিদের স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীও। সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর,জাহিদ এর আগে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে জেলে গিয়েছিল। 

Share this article
click me!