করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সারা বিশ্বে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
ইলিয়াস শরাফউদ্দিন-এর দাবি এটা আল্লা প্রদত্ত সাজা।
চিনের অবস্থাকে দেখিয়ে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের সতর্ক করলেন তিনি।
কিন্তু কেন আল্লা সাজা দিচ্ছে চিনকে, কী বলছেন তিনি?
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিনে মহামারীর আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যেই ১৩২ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এই সংক্রমণ নিয়ে উদ্বীগ্ন কারা বিশ্ব। তারমধ্যেই বিতর্কিত মুসলিম ধর্মগুরু ইলিয়াস শরাফউদ্দিন একটি চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন। বুধবার এক অডিও বার্তায় তিনি দাবি করেন, উইঘুর মুসলমানদের বর্বরোচিত তাণ্ডব চালানোর শাস্তি হিসেবেই আল্লা চিনে করোনাভাইরাস-এর প্রাদুর্ভাব ঘটিয়েছেন।
বিতর্কিত ধর্মগুরু বলেন, মনে রাখতে হবে চিন কীভাবে মুসলমানদের হুমকি দিয়েছিল। তারা প্রায় দুই কোটি মুসলমানের জীবন ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। তাদের মদ্যপান করতে বাধ্য করা হয়েছে, মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চিন ভেবেছিল কেউ তাদের চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। কিন্তু আল্লা তাদেরকে কঠিন শাস্তি দিয়েছেন।
ওই অডিও বার্তায় ইলিয়াস রোমান, পার্সিয়ান এবং রুশদের কথাও উল্লেখ করেন। দাবি করেন তারা অহংকারি হয়ে ইসলামের বিরুদ্ধাচারণ করেছিল। তারা সবাই এক এক করে আল্লার হাতে ধ্বংস হয়েছিল। চিনকে দেখিয়ে ভারতের হিন্দুত্ববাদি সংগঠনগুলিকে সতর্ক করেন তিনি। তাদের 'গডসের সন্তান' বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন চিনকে দেখে শিক্ষা নিয়ে তাদের মুসলমানদের আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
চিনের বিরুদ্ধে শিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর মুসলমানদের উপর নৃশংস অভিযান চালানোর অভিযোগ রয়েছে। ১০ লক্ষেরও বেশি মুসলমানকে ইন্টার্নমেন্ট ক্যাম্পে বন্দি করা রাখা হয়েছে। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে সমালোচনা হয়েছে চিনের। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারপরেও এই বিষয়ে দমানো যায়নি চিন-কে। নিজেদের কাজের সমর্থনে বেজিং এই আটক শিবিরগুলিকে ইসলামি চরমপন্থার মোকাবিলায় 'চাকরির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র' বলে উল্লেখ করেছে।
তবে, এই মুহূর্তে উইঘুর মুসলমানদের উপর চিন সরকারের রাষ্চ্রীয় সন্তরাসের থেকেও গোটা বিশ্ব বেশি উদ্বীগ্ন চিনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে। এদিনই হুবেই প্রদেশ থেকে নতুন করে ২৫টি মৃত্যুর খবর এসেছে। ফলে নিহতের সংখ্যা ১৩২ জনে পৌঁছেছে। সেইসঙ্গে প্রায় ৬,000 জন এইস ভাইরাসে আক্রান্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা এটা সবে শুরু। এই ভাইরাসের চূড়ান্ত রূপটা দেখা যাবে দিন ১০ পরে। ফলে মৃতের সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।