বিদেশ মন্ত্রকের খবর লাদাখ নিয়ে আলোচনা
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত
সেনা সরাতে সহমত দুই দেশ
মানা হবে সব প্রোটোকল
পূর্ব লাদাখ সীমান্তের উত্তাপ কমাতে এদিন ভারত চিন দুই দেশেরেই কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছিলেন। তাঁদের বৈঠক সদর্থক ছিল বলেই জানান হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানান হয়েছে, পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।
পূর্ব লাদাখের সীমান্ত সমস্যা মেটাতে সামরিক পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। চারটি পয়েন্টের পরিস্থিতি নিয়ে এক্যমত্ত হতে পারেননি দুই দেশের সেনা আধিকারিকরা। সেই সমস্যা সমাধানেই দুই দেশে আন্তরিক প্রচেষ্টা দেখিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সীমান্তে নিষ্ক্রীয়তা ও সেনা সরানোর বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে দুই দেশই সহমত পোষণ করেন।
সূত্রের খবর দুই দেশের প্রতিনিধিরাই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও প্রোটোকল অনুসারে সীমান্ত শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ নেবে বলে। দুই দেশের বৃহত্তর স্বার্থের উন্নতির দিকেই নজর দেওয়া হবে। একটি বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে দুই দেশের যুগ্ন সচিব পর্যায়ের আলোচনায় এই সিদ্ধান্তে উপনীয় হয়েছে।
কিন্তু আলোচনা হলেও চিন কি গালওয়ান সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেবে? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গেছে গালওয়ান অববাহিকা অঞ্চলে ১৪ নম্বর পেট্রোল পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ব্যাঙ্কার তৈরি করেছে চিন। দৌলতবাগ ওল্ডি থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরে পিপিলস লিবারেশ আর্মি একটি ক্যাম্প তৈরির করছে বলেও সূত্রের খবর।
সীমান্ত উত্তাপ প্রসমনে ওয়ার্কিং মেকানিজম পর কনসালটেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন অন ইন্ডিয়া চায়না বর্ডার অ্যাফেসার্স বা ডাবলুএমসিসি প্রজেক্টের অধীনেই এই বৈঠক হয়। ২০১২ সালে তৈরি হয়েছে ডাবলুএমসিসি। এর মূল উদ্দেশ্যই ছিল সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে তড়িঘড়ি আলোচনার মাধ্যমে তা সামাধান করতে উদ্যোগ নেওয়া। এই বৈঠকের সূত্র ধরেই দুই দেশ সহমত হয় যে বিদ্যমান পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য ভারত আর চিন উভয় পক্ষই যোগাযোগ রাখবে।