১৪ নভেম্বর শিশুদিবস। শুধুমাত্র শিশুদের আনন্দের দিনই নয়, পীড়িত শিশুদের জন্য ন্যায়বিচার পাওয়ারও দিন। সেই দিনেই ৫ বছরের শিশু আলুভা-কে ধর্ষণের কারণে উল্লেখযোগ্য শাস্তি ঘোষণা করল কেরলের এরনাকুলাম হাইকোর্ট।
চলতি বছরের জুলাই মাসে কেরল রাজ্যে নিজের এলাকার মধ্যেই হঠাৎ করে হারিয়ে গিয়েছিল ৫ বছরের ছোট্ট মেয়ে আলুভা। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে স্থানীয় বাজারের পিছন দিকের একটি জলাভূমির ধারে রাখা একটি বস্তার ভেতর থেকে পাওয়া গিয়েছিল তার দেহ। ময়নাতদন্ত করে দেখা যায়, নির্মম যৌন নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে আলুভাকে। সেই খুনের শাস্তির ঘোষণা হল আজ, ১৪ নভেম্বর, শিশু দিবসের দিন।
-
আলুভাকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় আসফাক আলম নামের এক যুবককে, যে বিহার থেকে কেরলে গিয়েছিলেন শ্রমিকের কাজ করার জন্য। আলুভাকে অপহরণ করে মাদক খাইয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে ধর্ষণ করার পর অবশেষে খুন করে আসফাক। তারপর প্রমাণ লোপাট করার জন্য মৃতদেহটি বস্তার ভেতরে ঢুকিয়ে ফেলে দিয়ে আসে জলাজমির ধারে। ৪ নভেম্বর POCSO আইনের অধীনস্থ মোট ১৬টি মামলায় আসফাককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়, তার মধ্যে যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণ এবং হত্যা সবকিছুই উল্লেখ করেছে শিশু নির্যাতন-রোধী আদালত।
-
'এই অপরাধের কোনও ক্ষমা হতে পারে না', আসফাক আলমের বিচারের সময় এমনই মন্তব্য করেছিলেন এরনাকুলাম আদালতের বিচারপতি। মামলাটি বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধের অধীনে আসে এবং সেজন্য দোষী ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। প্রমাণ নষ্ট করার জন্য আসফাককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, শিশুকে মাদক সেবন করানোর জন্য তিন বছর, ধর্ষণ করার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং নাবালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।