দেশজুড়ে প্রতিবাদের মাঝে দিশা দেখাল অন্ধ্রপ্রদেশ। ধর্ষণ বা গণধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের সাজার দিকে একধাপ এগোল দক্ষিণের এই রাজ্য। বুধবারই অন্ধ্রপ্রদেশের মন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছে 'এ পি দিশা বিল ২০১৯।'
আগে নিয়ম ছিল, এই মামলার ক্ষেত্রে ৪ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে বিচার প্রক্রিয়া। নতুন নিয়ম অনুসারে ২১ দিনের মধ্য়েই শেষ করতে হবে ধর্ষণকাণ্ডের শুনানি। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নয়া বিল আনল অন্ধ্রপ্রদেশ। এবার থেকে নারী নির্যাতন, শিশুদের ওপর অত্যাচার ছাড়াও ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার মতো মামলাগুলির দ্রুত বিচার হবে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশেষ আদালতে।
কী রয়েছে অন্ধ্রের এই নতুন দিশা বিলে ? বিলের খসড়া বলছে, নততুন বিল অনুযায়ী ধর্ষণ বা গণধর্ষণের সাজা স্বরূপ মৃত্যুদণ্ডকেই শিরেধার্য বলে মেনেছে অন্ধ্রের মন্ত্রিসভা। আগামী শীতকালীন অধিবেশনেই অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় আনা হবে এই বিল। নতুন নিয়ম মেনে ধর্ষণ মামলার পুলিশি তদন্ত শেষ করতে হবে সাত থেকে ১৪ দিনের মধ্য়ে। আগে ৪ মাসের মধ্য়ে ধর্ষণকাণ্ডের মতো জঘন্যতম কাণ্ডের শুনানি শেষ করতে হত। এখন তা কমিয়ে ২১ দিন করা হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়। দিশা আইন অনুসারে আইপিসি-তে আর্টিকেল 354-F ও 354-E সংযোজন করতে চায় অন্ধ্রের সরকার। আর্টিকেল 354-E অনুসারে কোনও ব্য়ক্তি কোনও মহিলাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বা অনলাইনে কটূক্তি বা অশ্লীল কথা বললে তার ২ বছরের সাজা হতে পারে। এখানেই শেষ নয়, পরবর্তীকালে একই কাজ করলে ৪ বছরের সাজা হবে অপরাধীর। একইভাবে 354-F ধারায় শ্লীলতাহানি ও যৌন নির্যাতনের জন্য বিশেষ আইন আনা হচ্ছে। এই দুই অপরাধ করলে অপরাধীকে ৫ বছরের সাজা শোনাবে আদালত।
দিশা বিল অন্ধ্রপ্রদেশ মন্ত্রিসভার সবুজ সংকেত পাওয়ার আগেই এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডি। বিধানসভায় তিনি বলেন, কোনওভাবেই মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে সমঝোতা করবে না অন্ধ্রের সরকার। সেকারণে ধর্ষণের জন্য দ্রুত শুনানির ব্য়বস্থা করা হয়েছে।