চিনের উপর মোদীর আরও এক আঘাত, অমিত শাহ ছাড় না দিলে দরপত্রই দিতে পারবে না চিনা সংস্থা


ভারতে চিনা বিনিয়োগের উপর চাপ বাড়িয়েছিল মোদী সরকার

তারপর ৫৯টি চিনা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিষিদ্ধ করা হয়েছে

এবার আরও এক ভারতীয় আঘাত নেমে এল চিনের উপর

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কী বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্র

amartya lahiri | Published : Jul 24, 2020 4:04 AM IST

ভারতে চিনা বিনিয়োগের উপর চাপ বাড়ানো এবং ৫৯টি চিনা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিষিদ্ধ করার পর, চিনের উপর আরও এক আঘাত হানল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্তে যেসব দেশ রয়েছে, সেখানকার লগ্নিকারীরা শুধুমাত্র 'উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ' দ্বারা নিবন্ধিত হলে তবেই সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য দরপত্র দিতে পারবে।

ভারতের  প্রতিবেশি সব দেশগুলির নামই এই বিজ্ঞপ্তিতে থাকলেও, মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ মূলতঃ বিদ্যুৎ, রেল বা টেলিকম প্রকল্পে চিনা সংস্থাগুলিকে নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যেই নেওয়া বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, যেসব দেশে ভারত ঋণ দিয়েছে বা সেখানকার দেশগুলিতে উন্নয়নমূলক প্রকল্পে অংশ নিয়েছে, এই নতুন আদেশ সেইসব দেশের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না।

'উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ' দ্বারা নিবন্ধিত হওয়ার মানে, দরপত্র দিতে গেলে বিদেশি সংস্থাগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে ভারতের বিদেশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছ থেকে যথাক্রমে রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র জোগার করতে হবে। অর্থাৎ, সরকারি প্রকল্পের জন্য দরপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত একটি  বাড়তি রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তাগত ফায়ারওয়াল বা ছাকনি স্থাপন করল বলা চলে। এই নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র না পেলে চিনা কোনও সংস্থা বিদ্যুৎ প্রকল্প, রেল প্রকল্প বা টেলিকম প্রকল্পে দরপত্র দিতে পারবে না। শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য প্রচারের জন্য বাণিজ্য দফতরের গঠিত নিবন্ধন কমিটি এই বিষয়টি দেখবে।

গালওয়ান সংঘর্ষের পরও চিনা সংস্থাগুলিকে কয়লা খনিতে দরপত্র হাঁকার অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতের সিদ্ধান্তে এই ধরণের অংশগ্রহণ সীমাবদ্ধ হলল বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্র এই নতুন নির্দেশিকা কার্যকর করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকেও চিঠি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত রাজ্যগুলির উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নেবে, তবে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র থাকা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। অর্থাৎ কেন্দ্রের বিদেশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক  এতে যুক্ত থাকবেই।

Share this article
click me!