
গ্যাস-অম্বল যেন সাধারণ বিষয়। এই সমস্যা প্রায়শই লেগে থাকে। খাওয়া-দাওয়ার সামান্য অনিয়ম হলেই দেখা দেয় এমন সমস্যা। এই সমস্যা হলেই অধিকাংশই নিজের মতো ওষুধ খেয়ে নেন। আবার কেউ কেউ ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে থাকেন। তবে, এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সেই Rantac কিংবা Zinetac-র ওপর ভরসা করেন প্রায় সকলে। ভারতের বাজারে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এমন দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, জানেন কি এমন গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে হচ্ছে ক্যান্সার। উঠেছে এমন অভিযোগ। এবার নিয়ে নিয়ে সতর্ক হল কেন্দ্র। সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) নিল নয়া পদক্ষেপ।
এই Ranitidine গোত্রের ওষুধ নিয়ে কড়া হল কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যে রাজ্যে গেল তদন্তের নির্দেশ। এই সব ওষুধে ক্যান্সারের উপাদান কতটা পরিমাণে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে বলল সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)।
সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোক নির্দেশ, Ranitidine তৈরি করার সময়ে এন-নাইট্রোসোডিমিথাইলামাইনের মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। ওই ওষুধ যাতে দীর্ঘ দিন ধরে দোকানে পড়ে না থাকে তা দেখা হচ্ছে।
Ranitidine হল হিস্টামিন-২ ব্লকার গ্রুপের ওষুধ। ভারতের Rantac, জিনট্যাক, অ্যাসিলক নামে বাজারে পাওয়া যায়। অম্বল, পেটব্যথা হলে এই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। গ্যাস্ট্রোইসোফ্যাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ, গ্যাসট্রিক আলসারের রোগীদেরও এই ওষুধ খাওয়া পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।
তবে, এমন ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না তা নিয়ে গত গবেষণা চলছে। ২০১৯ সাল থেকে এমন ওষুধ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এতে এমন উপাদানের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যার থেকে ক্যান্সার হচ্ছে। এই অভিযোগ করেন আমেরিকার খাদ্য ও ওষুধ নিরাময়ক সংস্থা। দাবি করা হয় এই ধরনের ওষুধে আছে এন-নাইট্রোসোডিমিযাইলামাইন নামক উপাদান। যা পাকস্থলি, খাদ্যনালি, মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। এখন চলছে গবেষণা। এই সত্য উদঘাটনের জন্য গত ডিসেম্হর থেকে কড়া হয়েছে প্রশাসন।