এবার কংগ্রেসে পরিবর্তন জরুরি, পাঁচ রাজ্যে ধরাসায়ী হওয়ার পর শীর্ষ নেতৃত্বকেই টার্গেট দলীয় নেতাদের

শশী থারুর বলেছেন কংগ্রসকে যদি টিকিয়ে রাখতে হত তাহলে দলে রদবদল আনতেই হবে। দলের ভিতরে ও বাইরে যে দাবিগুলি উঠছে সেগুলি নিয়ে পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। দলের সকলের কথায় গুরুত্ব দিতে হবে। 

Saborni Mitra | Published : Mar 10, 2022 6:26 PM IST

পাঁচ রাজ্যে (5 State Assembly Elections 2022) গেরুয়া ঝড়ে বিপর্যস্ত কংগ্রেস (Congress)। কোনও রাজ্যের সরকার গঠনের মত অবস্থায় নেই। অথচ কংগ্রেস গত বিধানসভা নির্বাচনে গোয়া ও মণিপুরে একক বৃহত্তম দলের তকমা পেয়েছিল। কিন্তু এবার সেই সম্মানও বিজেপি ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেসের  কাছ থেকে। কংগ্রেসের এই ধরাসায়ী অবস্থায় শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছেন, দল রদবদল আর এড়ানো যাবে না। এবার তা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। 

শশী থারুর বলেছেন কংগ্রসকে যদি টিকিয়ে রাখতে হত তাহলে দলে রদবদল আনতেই হবে। দলের ভিতরে ও বাইরে যে দাবিগুলি উঠছে সেগুলি নিয়ে পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। দলের সকলের কথায় গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরও বলেছেন এখনও পর্যন্ত তাদের মত অনেকেই জাতীয় কংগ্রেসের ওপর আস্থা রাখতে চান- কিন্তু সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল থেকে দল যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা মেনে নেওয়া সম্ভব না। তিনি আরও বলেছেন কংগ্রেস যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়ে সেখান থেকে দেশের জন্য ইতিবাচক এজেন্ডা নেওয়া আর লড়াই করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেছেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যা দলের কর্মী ও দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করে। 

অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা জয়বীর শেরগিল বলেছেন পরাজয় হল ক্ষতি - এমনটা মেনে নেওয়ার কোনও যুক্তি নেই। কিন্তু ভোট ভাগ, কম ব্য়বধানে হার -এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনাই হতে পারে সংস্কারের প্রথম ধাপ। 

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সম্প্রতি যিনি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন সেই অশ্বিনী কুমার বলেছেন, এটি হিসেবের মুহূর্ত। এটাই কংগ্রেসের শেষ খেলা বলেও দাবি করেছেন। 

উত্তর প্রদেশ থেকে গোয়া সর্বত্রই ধরাসায়ী কংগ্রেস।এই অবস্থায় G-23 নেতারা আরও একবার গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হবেন বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাঁদের দাবি একটা- কংগ্রেসে বর্তমানে একজন স্থায়ী সভাপতির প্রয়োজন রয়েছে। একের পর এক নির্বাচনে হার সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে খাদের কিনারায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন গান্ধীদের আবারও মনে করিয়ে দেবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনও পরিবর্তনই আনতে পারেনি কংগ্রেস। 

অন্যদিকে এদিন ফল প্রকাশের পরই রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন জনগণের রায়কে তিনি মাথা পেতে নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেছেন, কর্মীদের মনোবল যাতে অক্ষুন্ন থাকে তার জন্য তিনি কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বলেছেন এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের লড়াই করতে হবে। 

Share this article
click me!