অবশেষে ক্ষমা চাইলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান। তিন তালাক নিয়ে একটি আলোচনায় অংশ নিতে গিয়ে লোকসভায় দাঁড়িয়ে ডেপুটি স্পিকার রমা দেবীর উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে বিস্তর কাটাছেঁড়া চলে। বিভিন্ন দল নির্বিশেষে স্মৃতি ইরানি, মিমি চক্রবর্তী, নির্মলা সীতারামণ, সুষমা স্বরাজ-সহ লোকসভার একাধিক সাংসদ তাঁর এই মন্তব্যের সমালোচনা করেন।
এতদিন পর্যন্ত আজম খান তাঁর করা মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাননি। তাঁর দাবি ছিল, তাঁর একটি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন রয়েছে,তাঁর পক্ষে খারাপ কিছু মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তিনি যা বলেছেন তাতে যদি একটিও অগণতান্ত্রিক শব্দ থাকে, তাহলে তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। এমনকী তাঁকে ক্ষমা করার কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানিয়ে দেন স্বয়ং রমাদেবীও। তিনি বলেন, আজম খান আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইলেও তাঁকে ক্ষমা করবেন না তিনি।
তবে অবশেষে নিজে থেকেই ক্ষমা চাইলেন তিনি। প্রথমে লোকসভায় দাঁড়িয়ে 'দুঃখিত' বললেও তা স্পষ্ট করে শোনা না যাওয়ায় তাঁকে আবারও ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ করেন স্পিকার ওম বিড়লা এদিন লোকসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, তিনি নয় বারের বিধায়ক, রাজ্যসভার সদস্যও ছিলেন, সংসদীয় মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন, সংসদের কাজকর্ম সম্পর্কেও ধারণা রয়েছে তাঁর। কিন্তু তাঁর কোনও মন্তব্যে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত।
'ভাই-বোন চুম্বন করলে কি তা যৌনতা', প্রশ্ন করলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি এর আগেও বলেছেন যে, রমা দেবী তাঁর বোনের মতো। এই কথা আমি একবার বলি বা হাজারবার বলি তা কখনওই বদলাবে না। তাঁর পদের অসম্মান হয় এমন কোনও মন্তব্য তিনি করবেন না। এই বলে আরও একবার ক্ষমা চানা আজম খান। যদিও তাঁকে ক্ষমা না করার যে সিদ্ধান্ত রমা দেবী নিয়েছেন তাতে এঘটনার পর তাঁর সিদ্ধান্ত বদলাবে কি না তা এখন সময়ের অপেক্ষা।