বেসরকারি সংস্থায় কাজের চাপ এবং পারিপার্শ্বিক চাপ অনেক বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে একের পর এক সংস্থার কর্মীদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। অবিলম্বে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাবে।
টার্গেট পূরণ না হলে বেতন কমিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। টানা ২ মাস ধরে চাপ তৈরি করা হচ্ছিল। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন বাজাজ ফিন্যান্সের এরিয়া ম্যানেজার। এই মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে। সোমবার সকালে তাঁর বাড়িতে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। রবিবার রাতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে এক ঘরে রেখে পাশের ঘরে গিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েন তরুণ সাক্সেনা নামে ৪২ বছর বয়সি এই ব্যক্তি। বাড়ির কাজের লোক সকালে গিয়ে এই ঘটনার কথা জানতে পারেন। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। তাতে লেখা ছিল, গত ২ মাস ধরে উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা চাপ তৈরি করে যাচ্ছিলেন। তাঁরা হুমকি দিচ্ছিলেন, টার্গেট পূরণ করতে না পারলেই বেতন কমিয়ে দেওয়া হবে। ক্রমাগত এই চাপের ফলে মানসিক স্থিরতা হারিয়ে আত্মহত্যা করলেন তরুণ।
বাজাজ ফিন্যান্সের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
তরুণের ভাই গৌরব সাক্সেনা বলেছেন, ‘আমার দাদার সংস্থার পক্ষ থেকে ওর উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। ওকে বলা হচ্ছিল, সংস্থার আর্থিক লাভের পরিমাণ বাড়াতে হবে। টার্গেট পূরণ করতে না পারায় ওর বেতনও কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ভোপালে থাকা বাজাজ ফিন্যান্সের দুই আধিকারিক বৈভব সাক্সেনা ও প্রভাকর মিশ্র আমার দাদার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে ওকে গালিগালাজ করেন। এরপরেই ও আত্মহত্যা করে।’
বাজাজ ফিন্যান্সের মুখে কুলুপ
বাজাজ ফিন্যান্সের পক্ষ থেকে এখনও এই ঘটনা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ঝাঁসির পুলিশ সুপার জ্ঞানেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ‘সুইসাইড নোটে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করা হয়েছে। পরিবার থেকে যদি অভিযোগ দায়ের করা হয়, তাহলে আরও তদন্ত করা হবে।’
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'আত্মহত্যা বলে চালানোর এত তাড়া কেন?' সিবিআই-এর কঠিন প্রশ্নবাণের মুখে সন্দীপ ঘোষ
ফের শহরে রহস্য মৃত্যু! বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে মিলল তরুণীর ঝুলন্ত দেহ, আত্মহত্যা না খুন? তদন্তে পুলিশ