অবশেষে ধৃত বালিয়া গুলিচালনার মূল আসামী, বিজেপির বিরুদ্ধে উঠল অপরাধ আড়াল করার অভিযোগ

Published : Oct 18, 2020, 12:47 PM IST
অবশেষে ধৃত বালিয়া গুলিচালনার মূল আসামী, বিজেপির বিরুদ্ধে উঠল অপরাধ আড়াল করার অভিযোগ

সংক্ষিপ্ত

ধৃত বালিয়া গুলিচালনার ঘটনার মূল অভিযুক্ত লখনউয়ের জনেশ্বর মিশ্র পার্ক থেকে গ্রেফতার ধীরেন্দ্র প্রতাপ সিং বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং-এর অনুগামী সে তাঁর বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে

অবশেষে বালিয়া গুলিচালনার ঘটনার মূল অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং-এর অনুগামী ধীরেন্দ্র প্রতাপ সিংকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। রবিবার লখনউয়ের জনেশ্বর মিশ্র পার্কের কাছেএক জায়গা থেকে তাকে ধরে উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ-এর একটি দল। গত বৃহস্পতিবার বালিয়া-য় রেশন শপ বরাদ্দ করা নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্কের মধ্যে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের উপস্থিতিতেই জয় প্রকাশ (৪৬) নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্য়া করেছিল ধীরেন্দ্র, এমনটাই অভিযোগ। তারপর থেকেই  পলাতক  ছিল সে।

ধীরেন্দ্র প্রতাপ সিং স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং-এর অনুগামী। সুরেন্দ্র সিং-ই জানিয়েছেন ধীরেন্দ্রপ্রতাপ সিং গেরুয়া শিবিরেরই কর্মী। প্রকাশ্যেই তিনি ধীরেন্দ্র প্রতাপকে সমর্থনও করেছেন। শুক্রবার তিনি দাবি করেন, আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালিয়েছিল ধীরেন্দ্র। কারণ, তাকে ও তার পরিবারকে আক্রমণ করেছিল জয় প্রকাশ-রা। তাই জয় প্রকাশের সঙ্গীদের বিরুদ্ধেই এফআইআর করার দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে বালিয়ার গুলিচালনার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক বলে জানিয়েছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় ধীরেন্দ্র প্রতাপ সিং-এর বোন, বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও আহত হয়েছেন, বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এই নিয়ে রবিবারই কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা অভিযোগ করেন, গুলি চালানোর পর থেকে পলাতক থাকা বালিয়ায় গুলিচালনার ঘটনায় অভিযুক্তকে ভারতীয় জনতা পার্টি সমর্থন দিচ্ছে। এরপরই ধরা পড়ল ধীরেন্দ্র। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন (এনএসএ) এবং গ্যাংস্টার আইনের আওতায় মামলা করা হবে। এনএসএ-এর অধীনে, কোনও ব্যক্তিকে বিনা চার্জেই ১২ মাস পর্যন্ত আটক রাখতে পারে কর্তৃপক্ষ।

শুটিংয়ের ঘটনার দুদিন পর, শনিবার অবশ্য অভিযুক্ত ধীরেন্দ্র একটি ভিডিও প্রকাশ করে দাবি করেছিল, সে কাউকে গুলি করেনি। উপরন্ত সে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছিল। ঘটনার যথাযথ তদন্ত চেয়ে তিনিও অভিযোগ করেন, তাঁর ও তাঁর পরিবারের উপরই আক্রমণ করা হয়েছিল। কোনওভাবে তিনি পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেছেন। এসডিএম, বিডিও এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাঁরাই রেশন শপ বরাদ্দের প্রক্রিয়াটিকে প্রভাবিত করেছেন বলে অভিযোগও করেছিলেন।

 

 

PREV
click me!

Recommended Stories

বিএলও-দের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট, রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
বন্দে মাতরম সম্পাদনা কি দেশভাগের কারণ? অমিত শাহের মন্তব্যে তোলপাড়