ভিক্ষা করে সেই টাকা দিয়ে বিড়ি কিংবা সিগারেট খাওয়া, বা কোনও খারাপ সঙ্গে যোগ দিয়ে নেশা করার মতো অপরাধ করার ঘটনা এর আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু লখনউ-এর এই ভিখারি যা করেছেন তা কার্যতই সকলের ধারণার বাইরে।
৫৫ বছরের বিজয় বদ্রী ওরফে বাঙ্গালি নামে এক ব্যক্তি রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করেই নিজের জীবিকা নির্বাহ করতেন। জানা গিয়েছে দুর্ঘটনায় একটি পা বাদ চলে যাওয়ার পর থেকে ভিক্ষা করেই দিন গুজরান হত তাঁর। কিন্তু এর আড়ালে এক ভয়ঙ্কর কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েদের দিয়ে জোর করে চুরিবিদ্যা এবং দেহ ব্যবসার কাজে লাগাত সে।
তাকে ধরে তার ডেরা থেকে ১৫-১৬ বছরের মেয়ে ১৪ বছরের কয়েকটি ছেলেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ এবং বাঙ্গালিকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। পাশাপাশি তার ডেরায় আরও ছেলে-মেয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ মাত্র ১৫০ থেকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে মেয়েদেরকে দিয়ে জোর করে দেহ ব্যবসা করাত বলেও অভিযোগ।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের কাছে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, দেহ ব্যবসা বা চুরি করতে রাজি না হলে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ওপর চলত অকথ্য অত্যাচার। পাশাপাশি তাঁদের শরীর ব্লেড দিয়ে কেটে দিত বলেও জানা গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, সেই রক্ত নিজের গায়ে মেখে ভিক্ষা করতে বেরত সে, যাতে সাধারণ মানুষের সহানুভূতি পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বাঙ্গালিকে এদিন মুনশিপুলিয়ে থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরার মুখে নিজের অপরাধের কথা কবুল করেছে বাঙ্গালী।