
গত দুই বছর ধরে হিংসার আগুনে পুড়ছে মণিপুর। সেখানকার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। মিতাই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব মণিপুরকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। মণিপুরকে এই পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে কেন্দ্রীয় সরকার বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। মণিপুরের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সেখানে পুরো সেনা মোতায়েন করেছে। সরকারের এই পদক্ষেপ মণিপুরে কী ঘটতে চলেছে সেই প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
৯০টি অতিরিক্ত CRPF কোম্পানি মোতায়েন করা হবে
মণিপুরকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রাজ্য পুলিশ, অসম রাইফেলস এবং সিআরপিএফ সদস্যরা এতে বড় ভূমিকা পালন করে। মণিপুরের হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারও উদ্বিগ্ন, তাই এখন সরকার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে। এই প্রসঙ্গে, কেন্দ্রীয় সরকার এখন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) ৯০টি অতিরিক্ত কোম্পানি মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কোম্পানিগুলিতে প্রায় ৯ হাজার সেনা থাকবে।
মণিপুরে মোট সেনা মোতায়েন করা হয়েছে
বর্তমানে রাজ্য পুলিশ, সেনা, আসাম রাইফেলস এবং সিআরপিএফ-এর প্রায় ২৯ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের পর এবার মণিপুরে আরও ৯ হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে। এভাবে মণিপুরে মোট সেনা মোতায়েন করা হবে ৪০ হাজারের কাছাকাছি। এর ফলে মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। এই সমস্ত সেনারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবে। এমন পরিস্থিতিতে বলা যায় সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন মণিপুরে আবারও শান্তি ফিরে আসবে।
সম্প্রতি মণিপুরে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে, যাতে দুর্বৃত্তরা বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের বাসভবন এবং সম্পত্তিতে হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাংচুর করেছে। বিভিন্ন ঘটনার পর রাজ্যে প্রায় ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মণিপুর হিংসায় এখন পর্যন্ত ২৫৮ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে জঙ্গিরাও রয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।