বিহার নির্বাচন ২০২৫: আসন রফা নিয়ে RJD-কংগ্রেসের মধ্যে ফাটল? কী হতে চলেছে?

Published : Sep 22, 2025, 03:57 PM IST
বিহার নির্বাচন ২০২৫: আসন রফা নিয়ে RJD-কংগ্রেসের মধ্যে ফাটল? কী হতে চলেছে?

সংক্ষিপ্ত

বিহার নির্বাচনের আগে মহাজোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আরজেডি ও কংগ্রেসের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। আরজেডি "জয়ী প্রার্থী" এবং স্ট্রাইক রেটের ভিত্তিতে আসন দিতে চায়। অন্যদিকে কংগ্রেস ভিন্ন যুক্তি দিচ্ছে। 

পাটনা: বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর দামামা বাজতেই মহাজোটের অন্দরে আসন রফার জট আরও জটিল হচ্ছে। আরজেডি এবং কংগ্রেসের মধ্যেকার টানাপোড়েন এখন প্রকাশ্যে। তেজস্বী যাদবের দল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা শুধুমাত্র "জয়ী প্রার্থী এবং স্ট্রাইক রেট"-এর উপর ভিত্তি করে হবে। এর মানে হল, কংগ্রেসকে এবার আগেরবারের চেয়েও কম আসনে আপস করতে হতে পারে।

কংগ্রেসের ওপর আরজেডির আক্রমণ

গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৭০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, কিন্তু মাত্র ১৯টিতে জয়ী হয়। এই কারণেই আরজেডি এখন কংগ্রেসের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। দলীয় সূত্রে খবর, দুর্বল আসনগুলিতে আবার কংগ্রেসকে টিকিট দেওয়ার কোনও মানে হয় না। আরজেডির যুক্তি, জোটের নৌকা সেই দলগুলোর ভরসায় চলা উচিত, যাদের জেতার সম্ভাবনা বেশি।

কংগ্রেসের পাল্টা জবাব

কংগ্রেস এই অভিযোগ মানতে নারাজ। দলের নেতাদের মতে, ৭০টির মধ্যে অন্তত ২৭টি আসনে কংগ্রেসের পারফরম্যান্স বেশ ভালো ছিল। এর মধ্যে ৮টি আসন এমন ছিল, যেখানে খুব সামান্য ব্যবধানে হার হয়েছিল। কংগ্রেস মনে করে, যদি সেই আসনগুলিতে আবার সুযোগ দেওয়া হয়, তবে এবার জয় পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি, রাহুল গান্ধীর সাম্প্রতিক “ভোটার অধিকার যাত্রা” দলের মনোবল বাড়িয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, এই যাত্রার পর কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে এবং এর প্রভাব সরাসরি নির্বাচনের ফলাফলে পড়বে।

নতুন দলের আগমনে সমীকরণ আরও জটিল

মহাজোটে নতুন শরিক যোগ দেওয়ায় এবার আসন ভাগাভাগির জটিলতা আরও বেড়েছে। মুকেশ সাহানির ভিআইপি পার্টি, পশুপতি পারসের দল এবং হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সমীকরণকে আরও জটিল করে তুলেছে। আরজেডি এই দলগুলোকেও আসন ছাড়তে আগ্রহী, যার ফলে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা আরও কমতে পারে। সূত্রের খবর, আরজেডি কংগ্রেসকে ৩০-৩৫টির বেশি আসন দিতে রাজি নয়।

তেজস্বী যাদবের কড়া অবস্থান

আরজেডি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের স্পষ্ট বার্তা, রাজনীতিতে আবেগের চেয়ে অঙ্ক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন, জোট তখনই শক্তিশালী হবে যখন প্রতিটি দল তাদের স্ট্রাইক রেট অনুযায়ী আসনে লড়বে। তেজস্বীর আরও मानना, কংগ্রেসকে ততগুলোই আসন দেওয়া উচিত, যতগুলোতে তাদের জেতার সম্ভাবনা বেশি।

কংগ্রেসের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা

তবে কংগ্রেসেরও সমস্যা রয়েছে। একদিকে মহাজোটে থেকে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে হবে, অন্যদিকে দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও दांव पर। কংগ্রেস চায় না তাদের আসন সংখ্যা আরও কমুক, কারণ এর সরাসরি প্রভাব কর্মীদের মনোবলের ওপর পড়বে। এই কারণেই দল ক্রমাগত আরজেডি-র ওপর চাপ সৃষ্টি করছে যাতে তাদের সম্মানজনক আসন দেওয়া হয়।

নির্বাচনের আগে জোটের আসল পরীক্ষা

মহাজোটের অন্দরে এই আসন ভাগাভাগির টানাপোড়েন নির্বাচনের আগে তাদের ঐক্যের আসল পরীক্ষা। আরজেডি "বড় দল" হিসেবে নিজেদের ক্ষমতার জোরে কংগ্রেসকে কোণঠাসা করতে চায়, অন্যদিকে কংগ্রেস তার পুরনো ভোটব্যাঙ্ক এবং রাহুল গান্ধীর সক্রিয়তাকে হাতিয়ার করছে। যদি এই বিবাদ সময়মতো সমাধান না হয়, তবে বিরোধী জোটের জন্য এটি নির্বাচনী ময়দানে একটি দুর্বল দিক হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

ভারতের এয়ারলাইনের ইতিহাসে বড় বিপর্যয়! ইন্ডিগো একদিনে তার ৪০০ ফ্লাইট বাতিল করেছে
কেন ২০ ডিসেম্বর মোদী নদিয়ার রাণাঘাটে জনসভা করবেন? জানালেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়