বিয়ের আসরে কেঁদে ভাসাল বর, বিয়ে বাতিল করার পথে আদালত

Indrani Mukherjee |  
Published : Jul 26, 2019, 11:46 AM IST
বিয়ের আসরে কেঁদে ভাসাল বর, বিয়ে বাতিল করার পথে আদালত

সংক্ষিপ্ত

বিয়ের পর নববধূর চোখে জল আসবে এই ঘটনা খুবই স্বাভাবিক বিয়ের আসরে কেঁদে ভাসাল বর জোর করে বিয়ের আসরে তাঁকে নিয়ে আসা হয় বলে অভিযোগ বন্ধুকের নল মাথায় ঠেকিয়ে তাঁকে বাধ্য করা হয় বিয়ে করতে

বিয়ের পর নববধূর চোখে জল আসবে এই ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। কারণ এতদিন ধরে মা-বার সঙ্গে থাকার পর হঠাৎ করে একটা নতুন পরিবার ও নতুন একটা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলা, পাশাপাশি মা-বাবর সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি নান কারণে বিয়ের পর কনের চোখে জল দেখা যাওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এখানে যে খবরের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে গল্পটা হল ঠিক উল্টো।

যদিও ঘটনাটি ২০১৭ সালের। বিহারের একটি বিয়ের মণ্ডপের সেই ভিডিও ঘিরে রীতিমতো হইচই হয়েছিলয। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশ্যে আসা এখটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, এক বরকে জোর করে বিয়ের মণ্ডপে ধরে নিয়ে আসা হচ্ছে, এবং গোটা বিয়ের অনুষ্ঠান জুড়ে সে কেবলই কেঁদেই চলেছে। সেই বিয়েকেই এবার বাতিল বলে ঘোষণা করল বিহারের একটি পারিবারিক আদালত।

প্রসঙ্গত এইভাবে জোর করে কাউকে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো আপাত অর্থে অপরাধ হিসাবে মনে হলেও, বিহারে কিন্তু বহুদিন ধরেই প্রচলিত এই রীতি। বিহারে এই বিয়ে 'পাকাড়ওয়া বিবাহ' নামে পরিচিত। ভাইরাল হওয়া সেই বিয়ের বর বিনোদ কুমারকে দেখা গিয়েছিল সাবেকি বিয়ের পোশাক গায়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসে রয়েছেন। বিনোদ সেইসময় বোকারো স্টিল প্ল্যান্টের জুনিয়ার ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। জানা যায়, সেই সময়ে তাঁকে জোড় করে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো হয়েছিল। 

এরপর বিনোদ তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও দায়ের করেন। তবে সেই ভিডিওটি এতটাই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল যে, সেই ঘটনা পুলিশের ওপর মহলের সূত্র ধরে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বিনোদ জানিয়েছিলেন মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বাধ্য করে মেয়ের বাড়ির লোকেরা। এমনকী তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকী দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। 

PREV
click me!

Recommended Stories

গোয়ার নাইট ক্লাবে আগুনে পুড়ে মৃত ২৫, গ্রেফতার ৪, জানালেন প্রমোদ সাওয়ান্ত
বাংলায় বাবরি মসজিদ? ফুঁসছেন সাধ্বী ঋতম্বরা, বাগেশ্বর বাবা, দেবকিনন্দন ঠাকুর ও মৌলনা ইয়াসুব