শুক্রবার সকালে লখনউ-এর এক হস্টেলের ঘর থেকে মিলল এক তরুণী চিকিৎসকের দগ্ধ দেহ। অতি সম্প্রতি এমবিবিএস কোর্সের পড়া শেষ করেছিলেন বিহারের এই তরুণী। বর্তমানে বেরিলির ভোজিপুরা এলাকার এসআরএমএস ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে ইন্টার্নশিপ করছিলেন ডাক্তার সুকীর্তি শর্মা। সেখানকার হস্টেলের ঘরেই এই ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গিয়েছে সুকীর্তি শর্মার থাকতেন একটি এক বিছানার ঘরে। এদিন ভোরে হস্টেল কর্তৃপক্ষ তাঁর ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে। কিন্তু ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল। এরপরই খবর দেওয়া হয় দমকল বিভাগকে। তবে, দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই পুরো বাড়িটিতেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ৩০২ নম্বর ঘরে ঢুকে দেখা যায় ওই ডাক্তারের দেহ পুড়ে কয়লা হয়ে গিয়েছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডাক্তার সুকীর্তি শর্মার বাড়ির লোকদের খবর দেওয়া হয়েছে। এসআরএমএস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার এসবি গুপ্তার দাবি সুকীর্তির হস্টেলের ঘরে যে রুম হিটার ছিল, তার থেকেই কোনওভাবে আগুন লেগেছিল। কিন্তু, আগুন লাগার পরও ওই ডাক্তার ঘর থেকে বেরিয়ে আসলেন না কেন সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর এখনও মেলেনি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। আসেন লখনউ-এর এসপি (গ্রাম) সংসার সিং-সহ একাধিক উর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে এটা একটি দুর্ঘটনা। কেউ আগুন লাগায়নি, কোনওভাবে তার ঘরে আগুন লেগে গিয়েছিল। তবে হায়দরাবাদ কাণ্ডের পর থেকে যেভাবে দেশে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনা বেড়ে গিয়েছে, তাতে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ পুলিশ। ঘটনাটিকে কেউ দুর্ঘটনার রূপ দিতে চেয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।