'বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে দ্বিধা করব না', এনডিএ-র মধ্যে শোনা যাচ্ছে আরও এক বিদ্রোহী স্বর

দিন দুয়েক আগেই এনডিএ-র ত্যাগ করেছে শিরোমণি অকালি দল

ফের এনডিএ-র মধ্যে শোনা গেল বিদ্রোহী স্বর

বিজেপি-কে চরম বার্তা দিলেন এলজেপি প্রধান

সাফ জানালেন, এনডিএ সঙ্গীর বিরুদ্ধেও প্রার্থী দিতে দ্বিধা করবেন না

 

amartya lahiri | Published : Sep 29, 2020 10:13 AM IST

দিন দুয়েক আগেই কৃষি বিল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এনডিএ-র সঙ্গ ত্যাগ করেছে, বিজেপি-র সবচেয়ে পুরোনো রাজনৈতিক  সঙ্গী শিরোমণি অকালি দল। মঙ্গলবার ফের একবার এনডিএ-র মধ্যে এক সবিদ্রোহীর হুঙ্কার শোনা গেল। জোরদার হল  ভাঙনের ইঙ্গিত। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে, এনডিএ জোটে আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিজেপি-কে চরম বার্তা দিলেন লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান চিরাগ পাসওয়ান।

গত বেশ কয়েক মাস ধরেই বিহারে এনডিএ জোটের আসন সমঝোতা এবং নেতৃত্ব নিয়ে চিরাগ পাসওয়ান-এর সঙ্গে জেডি (ইউ) এবং বিজেপির দ্বন্দ্ব চলছে। অমিত শাহ, বিহারে এনডিএ-র মুখ হিসাবে নীতিশ কুমারকেই তুলে ধরার পর নেতৃত্ব নিয়ে চিরাগ মুখ বন্ধ রাখলেও, ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই আসন সমঝোতা নিয়ে দর কষাকষি করা শুরু করেছেন। এনডিটিভি-র এক প্রতিবেদনে অনুযায়ী, সোমবারই চিরাগ পাসওয়ান বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাত করে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, চিরাগ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিহারের ২৪৩ বিধানসভা আসনের মধ্যে এলজেপি ১৪৩টি আসনে প্রার্থী দেবে। বাকি ১০০টি আসন, বিজেপি-জেডি (ইউ) নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতে পারে। চিরাগ পাসওয়ান আরও জানিয়েছেন, জেডি (ইউ)-এর বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কোনও দ্বিধা করবেন না। কারণ, নীতিশ কুমার এর আগে বলেছিলেন, বিজেপির সঙ্গে তাদের কোনও জোট নেই। তাই জোট শর্ত মেনেও জেডি (ইউ) প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এলজেপি প্রার্থী দিতে কোনও অসুবিধা নেই।

প্রকাশ্য়ে 'আসন ভাগাভাগির বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি' মার্কা কথা বললেও, ইতিমধ্য়েই এলজেপি প্রধান দলের সংসদীয় বোর্ডের সদস্যদের ১৪৩ জন প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করতে এবং নিজ নিজ এলাকায় প্রচার শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন, বলে জদানা গিয়েছে। রাজ্যের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি, বন্যা, পরিযায়ী শ্রমিক সংকট এবং কর্মসংস্থানের সমস্যার মতো বিষয়গুলির কারণে নীতিশ কুমারের নেতৃত্বে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে ফল তাদের দলের ফল খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করছেন এলজেপি নেতারা।

অবশ্য চিরাগ পাসওয়ানের নিজের দলেও ভাঙন ধরতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। রামবিলাস পাসওয়ান অসুস্থ থাকায় দলকে যেভাবে চিরাগ নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তা দলের নয়াদিল্লির সংসদীয় বোর্ডের সদস্যদের প্রশংসা পেলেও, বিহারে দলের কয়েকজন সদস্য আবার অসন্তুষ্ট বলে শোনা যাচ্ছে। অন্তত ৪ জন এলজেপি নেতা, বিজেপি-তে যোগদানের কথা ভাবছেনি বলে খবর রয়েছে। সব মিলিয়ে বিহারে যে নির্বাচনে জয়টা এনডিএ-র সময়ের অপেক্ষা মনে করা হচ্ছিল, তা ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে।

 

Share this article
click me!