ভাইয়ের সঙ্গে হেলিকপ্টারে চড়েই পৌছে গিয়েছিলেন সমস্তিপুর জেলার হাসানপুরে। আর সেখানে দিয়ে দুই ভাই মিলে মনোনয়ন পত্র দাখিলের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। কিন্তু কেন তার পুরনো নির্বাচনী কেন্দ্র মহুয়া ছেড়ে হাসানপুরের প্রার্থী হচ্ছেন সে নিয়ে একটি কথাও বলেন লালু প্রসাদ যাদবের বড় ছেলে ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রার্থী তেজপ্রতাপ যাদব।
২০১৫ সালের বিহার বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে বৈশালী জেলার মহুয়া কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে বিধানসভায় পা রেখেছিলেন তেজপ্রতাপ। এবার সেই কেন্দ্র পরিত্যাগ করেন তিনি। বিহার রাজনীতিতে জল্পনা ঐশ্বর্যের জন্যই এই কেন্দ্রীটি পরিত্যাগ করেছেন তিনি। লালু প্রসাদ যাদবের দীর্ঘ দিনের সঙ্গী ও আরজেডির বিধায়ক চন্দ্রিকা রাইয়ের কন্যা ঐশ্বর্য রাই। তাঁকে বিয়ে করেছিলেন তেজপ্রতাপ। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক সুখের হয়নি। দাম্পত্যকহল এতটাই তীব্র হয় যে তা প্রকাশ্যে চলে আসে। স্বামীর ঘরও ছাড়তে বাধ্য হন ঐশ্বর্য। যাদব পরিবারের সঙ্গে ক্রমশই রাই পরিবারের সম্পর্কে চিড় ধরে। আর তা প্রভাব পড়তে শুরু করে রাজনীতিতে। আরজেডি ত্যাগ করে ঐশ্বর্যের বাবা চন্দ্রিকা রাই নীতিক কুমারের জেডিইউতে নাম লিখিয়েছেন। তারপরই ঐশ্বর্য বলেছিলেন মহুয়া কেন্দ্রে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন।
বিহারের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বিবাদ এড়াতেই নিজের জেতা কেন্দ্র ছেড়ে দিতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছেন তেজপ্রতাপ। তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। মনোনয়ন দাখিলেন পর তিনি বলেন ভোটে জিতলে এলাকার উন্নয়নে জোর দেবেন। নীতিশ কুমারের আমলে বিহারে বেকারির সংখ্যা ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। তাঁরা সরকারে এলে কর্ম সংস্থানের ওপরে জোর দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন লালু প্রসাদের বড় ছেলে।