নীতিশের মন্ত্রিসভায় বিজেপিরই দাপট, অর্থ থেকে স্বাস্থ্য সবই গেরুয়া শিবিরে

সোমবারই গঠিত হয়েছিল মন্ত্রিসভা

মঙ্গলবারই হল দপ্তর বন্টন করা হল

অর্থ, নগরোন্নয়ন, পঞ্চায়েত, স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর পেয়েছে বিজেপি

স্বরাষ্ট্র দপ্তর নিজের হাতেই রেখেছেন নীতিশ কুমার

 

amartya lahiri | Published : Nov 17, 2020 10:57 AM IST

সোমবার বিকেলে মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন নীতিশ কুমার। বিজেপির সাত জন, জেডিইউর পাঁচ জন এবং হ্যাম ও ও ভিআইপি দল থেকে একজন করে মন্ত্রী হয়েছেন। মঙ্গলবারই তাঁদের মধ্যে দপ্তর বন্টন করা হল। মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার যেমন স্বরাষ্ট্র দপ্তর নিজের হাতেই রাখলেন, সেইরকম বিজেপিকে ছাড়তে হয়েছে অর্থ, নগরোন্নয়ন, পঞ্চায়েত, স্বাস্থ্য  বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। বিশেষ করে উপমুখ্যমন্ত্রী তারকিশোর প্রসাদ অনেরগুলি গুরুতিবপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক নয়া বিহার মন্ত্রিসভা।

মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার নিজের হাতে রেখেছেন স্বরাষ্ট্র, প্রশাসন এবং ভিজিল্যান্স বিভাগ। এছাড়া যে সমস্ত দপ্তর এখনও বন্টন করা হয়নি, মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ না হওয়া অবধি সেগুলিও তাঁর হাতেই থাকছে।

উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা তারকিশোর প্রসাদ পেয়েছেন, অর্থ, বাণিজ্যিক কর, পরিবেশ ও বন, তথ্য প্রযুক্তি, বিপর্যয় মোকাবিলা, এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব।

আরেক উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপি বিধায়ক রেনু দেবীকে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতি রাজ, পশ্চাদপদ জাতির উন্নয়ন, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা শ্রেনির কল্যাণ এবং শিল্প মন্ত্রক।

এছাড়া বিজেপি মন্ত্রী মঙ্গল পান্ডে পেয়েছেন স্বাস্থ্য, সড়ক এবং শিল্প ও সংস্কৃতি বিভাগের দায়িত্ব, অমরেন্দ্র সিং দেখবেন কৃষি, সমবায় ও ইক্ষু বিভাগের দেখাশোনা করবেন, রাম সুরত দেখবেন রাজস্ব এবং আইন মন্ত্রক, আর জীবেশ কুমারকে পর্যটন ও শ্রম বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জেডিইউ থেকে হওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে বিদায়ী বিধানসভায় স্পিকার বিজয় চৌধুরী গ্রামীন প্রকৌশল, গ্রামোন্নয়ন, জল সম্পদ, তথ্য ও সম্প্রচার এবং সংসদীয় বিষয়ক বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন। এছাড়া জেডিউ মন্ত্রীদের মধ্যে বিজেন্দ্র যাদব-কে দেওয়া হয়েছে শক্তি, নিষিদ্ধকরণ, পরিকল্পনা, খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক, মেওয়ালাল চৌধুরী পেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব আর শীলা কুমারীকে করা হয়েছে পরিবহন মন্ত্রী।

এছাড়া এনডিএ জোটের ছোট অংশীদার এইচএএম দলের নেতা সন্তোষ মাঁঝিকে সেচ এবং এসসি / এসটি কল্যাণ বিভাগের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। আর ভিআইপি দলের প্রধান মুকেশ সাহনি পেয়েছেন পশুপালন ও মৎস্য বিভাগের দায়িত্ব।

Share this article
click me!