মোদী-শাহ জুটিই একলা পড়ে থাকবেন না তো, কৃষক বিক্ষোভে ফের ভাঙল এনডিএ-র ঘর

কৃষক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ফের ভাঙল এনডিএ-র ঘর

জোট ছেড়ে আন্দোলনে নামল রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি বা আরএলপি

বাংলায় এসে অমিত শাহ বলেছিলেন ভোট আসতে আসতে মমতা একলা পড়ে থাকবেন

কৃষক বিক্ষোভের শেষে মোদী-শাহ জুটির সেই দশা হবে না তো

 

amartya lahiri | Published : Dec 26, 2020 1:03 PM IST / Updated: Dec 30 2020, 03:35 PM IST

ফের এনডিএ-তে ভাঙন। শনিবার এনডিএ-র অন্যতম জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি বা আরএলপি জানিয়েছে নতুন কৃষি আইন নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে তারা, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট বা এনডিএ-র সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করছে। জানা গিয়েছে নতুন তিন কৃষি আইন ও চলমান কৃষক বিক্ষোভ মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের কঠোর অবস্থান নিয়ে আরএলপি যারপরনাই অসন্তুষ্ট। এদিন এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন আরএলপি প্রধান হনুমান বেনিওয়াল।

তবে, আরএলপি প্রধান যে হঠাৎ করেই বিজেপির সঙ্গ ছাড়লেন, তা নয়। গত এক মাস ধরেই, বিশেষ করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন তীব্র হওয়ার পর থেকে, আরএলপি এবং এনডিএ-র দূরত্ব বাড়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। গত সপ্তাহেই হনুমান বেনিওয়াল কৃষকদের প্রতিবাদের সমর্থনে তিন-তিনটি সংসদীয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, এইসব কমিটিগুলিতে তাঁর উত্থাপিত বিষয়গুলি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় না এবং কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েই তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন।

এদিন এনডিএ ছাড়ার পর বেনিওয়াল বলেন, কৃষি আইন পাস হওয়ার সময় তিনি সংসদে ছিলেন না। তাঁর অভিযোগ তিনি যাতে সংসদে আসতে না পারেন, তার জন্য তাঁকে নকল কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি লোকসভায় থাকলে কৃষি বিল ছিঁড়ে ফেলে দিতেন। এনডিএ ছাড়ার পর এবার রাজস্থানের নাগৌর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল চলমান কৃষকদের আন্দোলনের সমর্থনে রাজস্থান থেকে দুই লক্ষ কৃষককে নেতৃত্ব দিয়ে দিল্লি নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। এদিনই তিনি শাহজাহানপুরে, জয়পুর, নাগৌর, বারমের, যোধপুর এবং রাজস্থানের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসা কৃষকদের নিয়ে এক সভা করেছেন।

এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম মোদী মন্ত্রীসভা, তারপর এনডিএ ত্যাগ করেছিল বিজেপির সবচেয়ে পুরোনো সঙ্গী শিরোমণি অকালি দল। চলমান কৃষক বিদ্রোহে তারা সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। এবার এনডিএ ছাড়ল আরেক পুরোনো সঙ্গী আরএলপি-ও। জোট ছাড়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে হরিয়ানার এনডিএ সঙ্গী দুষ্মন্ত চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টিও। বাংলায় তৃণমূলের ঘর ভেঙে, গত সপ্তাহেই মেদিনীপুরের সভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি জানিয়েছিলেন, বাংলার নির্বাচন আসতে আসতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা পড়ে থাকবে। কৃষি আন্দোলনকে ঘিরে এনডিএ-র ঘর যেভাবে ভাঙছে, তাতে আন্দোলনের শেষে একা মোদী-শাহ জুটি পড়ে থাকবেন না তো?

Share this article
click me!