ধরা পড়ল কংগ্রেস ও বিজেপি নেত্রীর যৌথ মধুচক্র, তীব্র নিন্দায় মুখর রাজ্যবর্ধন রাঠোর

দেশে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধে লাগাম লাগার কোনও সম্ভাবনাই নেই

বিস্ময়কর খবর এল রাজস্থানের সাওয়াই মাধোপুর থেকে

মধুচক্রের ব্যবসা চালাচ্ছিলেন কংগ্রেস ও বিজেপির দুই নেত্রী

এই নিয়ে রাজস্থান সরকারকে একহাত নিলেন রাজ্যবর্ধন রাঠোর

 

amartya lahiri | Published : Oct 2, 2020 10:58 AM IST / Updated: Oct 02 2020, 04:41 PM IST

দেশে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধে লাগাম লাগার কোনও সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। আর সেইসব ঘটনা নিয়ে রাজনীতিও কম হচ্ছে না। শুক্রবার রাজস্থানের সাওয়াই মাধোপুর থেকে একটি বিস্ময়কর খবর উঠে এসেছে। কংগ্রেস ও বিজেপির জেলা পর্যায়ের দুই মহিলা নেত্রী একেবারে গলায় গলায় হয়ে মধুচক্র চালাচ্ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটা নিয়ে কংগ্রেস নেতাদের প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেলেও, সাওয়াই মাধোপুরের ঘটনা নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার। এই নিয়ে তাদের একহাত নিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোর।

টুইটারে বিজেপি সাংসদ লেখেন, রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের শুধু বিজেপির সংযোগই চোখে পড়বে। তাদের নাকের নিচেই সাওয়াই মাধোপুরে নারীদের ব্যবস্থাগত যৌন শোষণ এবং নির্যাতন চলছিল। এই অটো পাইলট সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত। কোথাও কারও কাছে মহিলাদের শোষণ গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

এদিন জানা যায়, সাওয়াই মাধোপুরে বেশ কয়েকটি নাবালিকাকে জোর করে দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো হতো। এই অবৈধ কাজের মূল পাণ্ডা ছিলেন, বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভাপতি স্মিতা ভার্মা ওরফে সম্পতি বাই এবং কংগ্রেস সেবা দলের মহিলা শাখার প্রাক্তন জেলা সভাপতি পূজা ওরফে পুনম চৌধুরী। সুনিতা ভার্মা-কে পুলিশ গ্রেফতার করলেও পুজা চৌধুরী এখনও পলাতক। গোটা মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্মিতা ছাড়া রয়েছে তার সঙ্গী হীরালাল, কালেক্টর অফিসের পিয়ন শ্রীরাম মিনা, জেলা শিল্প কেন্দ্রের ক্লার্ক সন্দীপ শর্মা এবং এক ইলেক্ট্রিশিয়ান রাজুলাল রাগা।

পুলিশ জানিয়েছে স্মিতা ভার্মা ও পূজা চৌধুরী দুজনে ভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেত্রী হলেও এই অবৈধ ব্যবসা এই দুই মহিলা একসঙ্গেই চালাচ্ছিলেন। বহু নাবালিকা ও অসহায় মহিলারা তাদের খপ্পরে আটকা পড়েছিল। এক নাবালিকাই প্রথম এই বিষয়ে অভিযোগ জানায়। তার বয়ান অনুযায়ী স্কুল থেকে ফেরার সময় তাকে পাকড়াও করে অর্থের বিনিময়ে জোর করে সঙ্গমে বাধ্য করা হয়েছিল। শুধু সাওয়াই মাধোপুরে নয়, রাজস্থানের অন্যান্য শহরেও এই দুই মহিলার মধুচক্রের জাল বিছানো আছে। ওই নাবালিকাকে জয়পুরে পাঠানোর চেষ্টাও করা হয়েছিল।

Share this article
click me!