প্রধানমন্ত্রী মোদীর বড়দিনের ভাষণই হাতিয়ার, নতুন কৃষি আইন নিয়ে ভাবমূর্তি উদ্ধারে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি

Published : Dec 24, 2020, 07:43 PM ISTUpdated : Dec 24, 2020, 08:46 PM IST
প্রধানমন্ত্রী মোদীর  বড়দিনের  ভাষণই হাতিয়ার, নতুন কৃষি আইন নিয়ে ভাবমূর্তি উদ্ধারে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি

সংক্ষিপ্ত

২৫ ডিসেম্বর কৃষকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী  একগুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিজেপি  প্রশাসনিক স্তরেও কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে  ভাবমূর্তি উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়ছে বিজেপি   

আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী  কৃষকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী-কিষাণ যোজনার মাধ্যমে দেশের ৮০ মিলিয়ন কৃষকের মাধ্যে ১৮ হাজার কোটি টাকা সরাসরি বিলি করবেন।  সেইসঙ্গে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনাও করবেন। আর প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলের কৃষক দরদী ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে ভারতী জনতা পার্টি। 


তিনটি নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে টানা ২৯ দিন অবস্থান বিক্ষোভ দলছে দিল্লির উপকণ্ঠে। প্রায় অবরুদ্ধ দিল্লির সীমানাবর্তী এলাকাগুলি। তিনটি কৃষি আইন ফেরত না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারী অন্নদাতারা। চলচে কৃষকদের রিনে অনশন। আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।  আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ক্রমশই বিজেপি ও কেন্দ্রয় বিরোধী সুর চড়াচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এইপরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই দলের ভাবমূর্তি পুণরুদ্ধারের চেষ্টা করার পরিকল্পনা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। 


বিজেপির প্রধান জেপি নাড্ডা ইতিমধ্যেই দলের সকল বিধায়ক, সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য চিঠি লিখে নির্দেশ দিয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকীর সঙ্গে মিল রেখে একটি অনুষ্ঠানের কথাও বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় ইউনিটগুলির সভাপতি ও সমস্ত প্রবীণ নেতাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দৌড়শালায় উপস্থিত থাকবেন। সেখানে তিনি নির্বাচিত কয়েক জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলবেন। 


প্রশাসনিক স্তরেও বেশ কয়েকটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ব্লক উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনার জন্য বড় টিভি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের এক ঘণ্টা আগে থেকেই জেলাস্তরের অনুষ্ঠান শুরু করার কথা বলা হয়েছে। মাণ্ডি বা এপিএমসি বাজারে এই কর্মসূচি গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  অনুষ্ঠানগুলির মূল উদ্দেশ্যই হবে নতুন কৃষি আইনের সুবিধের কথা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তুলে ধরা। একই সঙ্গে মূল বিষয়বস্তু স্থানীয় ভাষায় ছাপানো লিফলেটের মাধ্যমে বিলি করা ও যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হবে।

আগেই বিজেপি পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কৃষি আইনের সমর্থনে দলের পক্ষ থেকে শতাধিক সাংবাদিক বৈঠক করা হবে।  দেশের প্রতিটি এলাকায় কৃষি আইনে কৃষকরা উপকৃত হবেন তার তথ্য় তুলে ধরে কৃষকদের কাছে গিয়ে বোঝানো হবে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করে একাধিক বার্তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটাই প্রথম নয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিক অনুষ্ঠানে কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেছেন, উন্নয়নের জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রয়োজন।  

PREV
click me!

Recommended Stories

News Round Up: কলকাতায় পা রাখছেন মেসি থেকে শুরু করে শুভেন্দুর নিশানায় মমতা, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে
জনগণনা ২০২৭: ৩০ লক্ষ কর্মী, ১১,৭১৮ কোটি টাকা বাজেট, বিশ্বের বৃহত্তম সমীক্ষা