বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন স্ত্রী। এই আশঙ্কাতেই গুরুগ্রামের বাসিন্দা এক বিজেপি নেত্রীকে বাড়ির মধ্যেই গুলি করে খুন করল তার স্বামী। অভিযুক্ত একজন প্রাক্তন সেনাকর্মী। নিহত নেত্রী হরিয়ানায় বিজেপি-র কিষান মোর্চা-র সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শনিবার রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। সেই সময় মুনেশ নামে ওই বিজেপি নেত্রী সেক্টর ৯৩-তে নিজেদের ফ্ল্যাটের রান্নাঘরে ফোনে তাঁর বোনেপ সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখনই তাঁর স্বামী সুনীল গোদারা মুনেশের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। দু' জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হলে হঠাৎই নিজের সার্ভিস রিভলবার বের করে মুনেশকে গুলি করে সুনীল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এই ঘটনার সময় সুনীলের বাবা দলিপ সিং ছাড়াও এবং সন্তানরা বাড়িতেই ছিলেন। দলিপ সিং জানিয়েছেন, বান্টি গুজ্জর নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মুনেশের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করত সুনীল। তা নিয়ে দু' জনের মধ্যে বচসাও হতো।
নিজের আচরণের জন্যই সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে স্বেচ্ছাবসর নিতে বাধ্য হয় সুনীল। তার পর প্রাইভেট সিকিউরিটি অফিসার হিসেবে কাজ করছিল সে।
স্ত্রীকে হত্যার পরই নিজেদের আবাসন ছেড়ে বেরিয়ে যায় সুনীল। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখায় সে। নিরাপত্তারক্ষীরাই ফোন করে সেক্টর ১০ পুলিশ স্টেশনে ঘটনার কথা জানান। ততক্ষণে অবশ্য গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে অভিযুক্ত।
এই ঘটনায় সুনীলের বাবা দলিপ সিং তাঁর ছেলে, বান্টি গুজ্জর এবং তাঁর স্ত্রী অনুর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন। দু'টি দল গঠন করে সুনীলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
২০০১ সালে সুনীল এবং মুনেশের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই দু' জনের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত বলে দাবি করেছেন পরিবারের ঘনিষ্ঠরা। যদিও মৃতার ভাইয়ের দাবি, মুনেশের কোনও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল না।