অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে গণধর্ষণ, লজ্জায় আত্মঘাতী প্রেমিক, নৃশংসতা উদয়পুরে

  • রাজস্থানের উদয়পুরের ঘটনা
  • গণধর্ষণের শিকার এক দলিত তরুণী
  • লজ্জায় আত্মঘাতী নির্যাতিতার প্রেমিক
  • আত্মহত্যার তদন্তে নেমে গণধর্ষণের কথা জানতে পারে পুলিশ

debamoy ghosh | Published : Aug 13, 2019 12:20 PM IST / Updated: Aug 13 2019, 11:03 PM IST

অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে গণধর্ষণ করল দুষ্কৃতীরা। সমাজে হেয় হওয়ার আশঙ্কায় আত্মহত্যা করলেন তাঁর প্রেমিক। সেই আত্মহত্যার তদন্ত করতে গিয়ে রাজস্থানের জয়পুরে শিউরে ওঠার মতো নির্যাতনের ঘটনা সামনে এল। যা মনে করিয়ে দিল ২০১৬ সালে নির্ভয়া কাণ্ডের নৃশংসতাকে। 

বাস্তবিকই শিউরে  ওঠার মতো এই ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে। ঘটনার প্রায় একমাস বাদে গণধর্ষণের কথা জানতে পারে পুলিশ।  তাও হত না, যদি না নির্যাতিতার প্রেমিক লজ্জায় আত্মঘাতী হতেন। 

একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে গত ১৩ জুলাই রাতে। নিজের প্রেমিকের সঙ্গে মোটরবাইকে করে ফিরছিলেন ১৯ বছর বয়সি ওই দলিত তরুণী। মাঝপথে আচমকাই ওই যুগলের উপরে চড়াও হয় তিন দুষ্কৃতী। প্রথমে যুবককে রড এবং তরোয়াল দিয়ে আক্রমণ করা হয়। তাঁর মোবাইলটিও কেড়ে নেওয়া হয়। মারধরের জেরে যুবক সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাঁর দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে একটি নির্জন বাস স্ট্যান্ডে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে সুনীল ছারপোত, বিকাশ এবং জিতেন্দ্র ছারপোতা নামে তিন দুষ্কৃতী। 

এখানেই অবশ্য নির্যাতনের শেষ হয়নি। এর পরে ফের ওই তরুণীকে একটি অন্য জায়গায়া নিয়ে গিয়ে নরেশ গুরজার এবং বিজয় নামে আরও দুই সঙ্গীকে ডেকে এনে ফের একবার গণধর্ষণ করা হয় ওই তরুণীকে। 

অত্যাচারের জেরে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার গর্ভস্থ ভ্রূণের। পরে ওই তরুণীকে গর্ভপাতও করাতে হয়। 

এ দিকে সংজ্ঞা ফিরে পাওয়ার পরেই সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে আত্মঘাতী হন ওই তরুণীর প্রেমিক। কারণ তাঁদের বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন তাঁর বান্ধবী। ঘটনার পরে পুলিশকেও কিছু জানাননি ওই নির্যাতিতা। 

কিন্তু ওই যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্তে নেমে উদয়পুরের বাঁশওয়ারা থানার পুলিশ প্রথমে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এর পরে ওই অভিযুক্তের থেকে নির্যাতিতার প্রেমিকের মোবাইলটি উদ্ধার হতেই ধীরে ধীরে গণধর্ষণের কাণ্ডের কথা জানতে পারে পুলিশ। 

ঘটনার প্রায় তিন সপ্তাহ পরে পুলিশের হাতে আসে মৃত যুবকের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন। তদন্তকারীরা লক্ষ্য করেন, একটি নির্দিষ্ট নম্বর থেকে যুবকের ফোনে একাধিক কল এসেছে। ওই নম্বরের সূত্রেই নির্যাতিতার খোঁজ পায় পুলিশ। এর পরে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয। শারীরিকভাবে খুব ভাল অবস্থায় না থাকলেও পুলিশের সামনে গোটা ঘটনা তুলে ধরেন নির্যাতিতা। 

এর পরেই বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ, খুনের চেষ্টা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মতো অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে সুনীল ছারপোতার নামে পাঁচ হাজার টাকার নগদ পুরস্কার ছিল। কারণ অতীতে অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। 

Share this article
click me!