একেই বলে বিদায়, কনে চলল শ্বশুরবাড়ি, হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় জমালো গোটা গ্রাম

  • গ্রামের কেউ আগে হেলিকপ্টার দেখেননি
  • সেই দেখার সুযোগ এসে গেল গ্রামের এক মেয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে
  • বিয়ের পর কনে শ্বশুরবাড়ি গেলেন হেলিকপ্টারে চড়ে
  • এই বিয়ের কথা এখন চিদাওয়া শহরের লোকের মুখে মুখে ঘুরছে

 

amartya lahiri | Published : Nov 22, 2019 8:44 AM IST / Updated: Nov 22 2019, 03:58 PM IST

অজিতপুরা গ্রামের কেউ কোনওদিন হেলিকপ্টার দেখেননি। আর সেই অজ পাড়া গাঁ-এরই কনে শ্বশুরবাড়ি গেলেন হেলিকপ্টারে চড়ে। রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলার চিদাওয়া শহরের কাছের অজিতপুরা গ্রামের এই বিয়ের কথা আপাতত গোটা শহরের লোকের মুখে মুখে ঘুরছে। সাড়া ফেলেছে সোশ্য়াল মিডিয়াতেও।

এই চাঞ্চল্যকর বিয়েটি হয়েছে গত বুধবার। তবে বিয়ে নয় আসল আকর্ষণ ছিল তার প্ররে ঘটনা, অর্থাৎ বাপের বাড়ি থেকে মেয়ের বিদায় নেওয়া নিয়ে। কনে রীনা সিং তাঁর স্বামী সন্দীপ লাম্বার সঙ্গে বাপের বাড়ি ছাড়েন হেলিকপ্টারে চড়ে। সন্দীপ লাম্বার বাড়ি সুলতানায়। অজিতপুরা গ্রাম থেকে সুলতানা পর্যন্ত পথ নবদম্পতি পারি দেন কপ্টারেই।

রীনা ঝুনঝুনু মোর্রাকা কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আর সন্দীপ লাম্বা নাসিকে স্টেশন মাস্টার হিসেবে নিযুক্ত। রীনার বাবা মহেন্দ্র সিং জানিয়েছেন রীনার বিয়ে ঠিক করার পরই তিনি মনে মনে মেয়েকে দারুণ জাঁকজমক করে বিদায় দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। তখনই ঠিক করে নিয়েছিলেন মেয়ে বাড়ি ছাড়বে হেলিকপ্টারের করে। বিয়ের মাস দুই আগে বাড়ির লোককে জানান, তাঁর পরিকল্পনার কথা।   

অথচ এর আগে অজিতপুরা গ্রামের কেউ হেলিকপ্টার চোখে দেখেননি। বিয়ের দিন সকালেই গ্রামে এসে গিয়েছিল হেলিকপ্টারটি। বানানো হয়েছিল অস্থায়ী হেলিপ্যাড-ও। এই নিয়ে সকাল থেকেই গ্রামবাসীর মধ্যে দারুণ কৌতূহল ছিল। আগ্রহ দেখা যায় স্কুলের শিশু থেকে গ্রামের বরিষ্ঠদের মধ্যেও। একেবারে গ্রামে এসে নামা থেকে রীনা-সন্দীপকে নিয়ে উড়ে যাওয়া পর্যন্ত তাদের উৎসাহ ছিল দেখার মতো।

Share this article
click me!